তরিকুল ইসলাম : আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা আন্দোলনের শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বাংলাদেশে দায়িত্ব প্রাপ্ত বিদেশি কূটনীতিকরা। ঢাকায় ডিপ্লোম্যাটিক কোরের ডিন ও ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূত আর্চবিশপ জর্জ কোচেরি’র নেতৃতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কূটনীতিকরা। এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ডেলিগেশন প্রধান রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিঙ্ক ও অন্যান্য দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত, মিশন প্রধান ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মহান শহীদ দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার শ্রদ্ধা জানান। ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে প্রকাশিত ভিডিও বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বাংলা ভাষা আন্দোলন সারা বিশ্বের মানুষের জন্যই অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
এদিকে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ দূতাবাশ ও মিশনগুলোতে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা শহীদদের স্মরণে দূতাবাস প্রাঙ্গনে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। ভাষা শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং তাঁদের আত্মার মাগফেরাত ও বাংলাদেশের সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
পরবর্তী পর্বে দূতাবাস মিলনায়তনে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত শহীদ মিনার বেদীতে পুস্পাস্তবক অর্পণ করা হয়। প্রথমে রাষ্ট্রদূতদের নেতৃত্বে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পুস্পাস্তবক অর্পণ করেন। পরে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক ও অন্যান্য অতিথিগণ প্রভাতফেরীর মাধ্যমে শহীদ মিনার বেদীতে পুস্পাস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান।
অনুষ্ঠানে শহীদ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। পরে রাষ্ট্রদূত ও মিশন প্রধানরা সকলের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। ভাষা আন্দোলনের পটভূমি ও তাৎপর্য তুলে ধরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে দেশের উন্নয়নে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে রাষ্ট্রদূত মাতৃভাষা ও মাতৃভূমির মর্যাদা রক্ষায় সকলকে আরো বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।