শিরোনাম
◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ ◈ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা সাদা পতাকা উড়াচ্ছিল, তাদের বূলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দিল ইসরায়েলী সেনারা ◈ ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দ্রুত আরোপ করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ ◈ যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত ◈ বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ ও মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র: ম্যাথিউ মিলার ◈ ঈদের পর কমপক্ষে ২৩ ডিসি’র রদবদল হতে পারে ◈ ৫ থেকে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে কর্মদিবস একদিন

প্রকাশিত : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৩:২০ রাত
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৩:২০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নাসিমা খান মন্টি : নারী সাংবাদিকতার নয়া বাতিঘর

বিভুরঞ্জন সরকার : একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালির জীবনে একটি স্মরণীয় দিন। মাতৃভাষার মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে গৌরবের এক অনন্য ইতিহাস রচনা করে গেছেন বরকত, রফিক, জব্বার, সালামেরা। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষার জন্য জীবন দিয়ে বীর শহীদেরা কার্যত স্বাধীনতার পথে অগ্রসর হওয়ার সোপান রচনা করেছিলেন। সেই থেকে আমরা প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন করি গভীর শ্রদ্ধা, আবেগ আর ভালোবাসায়। আমাদের কণ্ঠে গীত হয় আব্দুল গাফফার চৌধুরীর লেখা কালজয়ী কবিতার সঙ্গীতরূপ ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’!

একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের জাতীয় জীবনে যেমন স্মরণীয়-বরণীয় তেমনি কারো কারো ব্যক্তি জীবনেও একুশে ফেব্রুয়ারি গুরুত্বপূর্ণ এবং পালনীয়। এ দিন পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছেন অনেক মানুষ। প্রত্যেক মানুষের কাছে তার জীবন হচ্ছে সবচেয়ে প্রিয় আর সেজন্য জন্মদিনও ব্যক্তির কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। যে বাঙালির জন্মদিন একুশে ফেব্রুয়ারি তার কাছে দিনটি অন্যরকম তাৎপর্য বহন করে। জাতীয় দিবসের সঙ্গে নিজের জন্মদিন ব্যক্তিকে নিশ্চয়ই বিশেষভাবে আবেগ আপ্লুত করে।

আমরা যারা আমাদের নতুন সময়, আমাদের অর্থনীতি, আওয়ার টাইম এবং আমাদের সময়. কম পরিবারের সঙ্গে জড়িত তাদের কাছে একুশে ফেব্রুয়ারি দিনটি ভাষা দিবস ছাড়াও আরো একটি কারণে আনন্দের। কারণটি হলো, অনেকটা একান্নবর্তী পরিবারের মতো আমাদের এই গণমাধ্যম পরিবারের অন্যতম অভিভাবক, কর্ণধার নাসিমা খান মন্টির আজ জন্মদিন। নাসিমা খান মন্টি আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক। আমাদের নতুন সময়ের উপদেষ্টা সম্পাদক। আওয়ার টাইমের এডিটর-ইন-চার্জ এবং আমাদের সময়. কমের সম্পাদক।

১৯৭৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তার জন্ম। ছাত্রজীবনেই সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণের কোনো স্বপ্ন তার ছিলো কিনা জানি না। তবে মাত্র কুড়ি বছর বয়সে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি দৈনিক আজকের কাগজের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ১৯৯৭-৯৮ সালে। তারপর বিভিন্ন সময়ে তিনি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করছেন। অভিজ্ঞ হয়েছেন, সমৃদ্ধ হয়েছেন। তিনি হাতে কলমে যেমন কাজ শিখেছেন তেমনি ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রিও নিয়েছেন। মিডিয়া বিষয়ক গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সেন্টার ফর ডেভেলপমপেন্ট, জার্নালিজম অ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিসিডিজিসি)-এর সঙ্গেও তিনি সক্রিয় জড়িত আছেন।

নাসিমা খান মন্টি সাংবাদিক এবং সংবাদপত্র সংক্রান্ত বেশকিছু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। অনেকগুলো গবেষণাকাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি দেশের অন্যতম গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডিতেও কাজ করেছেন। একাধিক বিষয়ে তার গবেষণা কর্ম রয়েছে। তিনি কয়েকটি আন্তর্জাতিক ফোরামে অংশ নিয়েছেন। তিনি গণমাধ্যম বিষয়ে কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন। আবার কয়েকটি পুরস্কার প্রদান কমিটিতে জুরি হিসেবেও আছেন। কমপক্ষে ১১টি সংগঠনের সদস্য হিসেবে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।

নাসিমা খান মন্টি একজন দক্ষ সংগঠক এবং একই সঙ্গে অত্যন্ত উদ্যোগী মানুষ। আড়ালে থেকে পরামর্শ দেয়া নয়, দুই বেলা অফিসে তার সরব উপস্থিতি সহকর্মীদের দারুণভাবে প্রাণিত করে। তার তাৎক্ষণিক পরামর্শ পত্রিকার গুণমান বাড়াতে সহায়তা করে। কেবল খবর সংগ্রহ নয়, তা কীভাবে পরিবেশন করলে পাঠকের মনোযোগ পাবে সেটা তিনি ভালো বোঝেন।

মিডিয়া ব্যবস্থাপনাতেও তার সাফল্যের স্বাক্ষর আমরা এর মধ্যই লক্ষ্য করেছি। তার সম্পাদনায় ও সার্বিক দিকনির্দেশনায় আমাদের অর্থনীতি দেশের অর্থনীতি বিষয়ক অন্যতম জনপ্রিয় পত্রিকায় পরিণত হয়েছে।

আমাদের দেশে সাংবাদিকতার পেশায় নারীদের আগ্রহী হয়ে ওঠার ইতিহাস খুব পুরনো নয়। এই পেশাকে মেয়েদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়। সমাজ, রাষ্ট্র, পরিবার নারীদের জন্য উদার ও মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে পদে পদে বাধা অতিক্রম করে নারীরা এগিয়ে আসছেন। ঝুঁকি গ্রহণে পিছপা হচ্ছেন না তারা। সাংবাদিকতা পেশাতেও এখন নারীদের অবস্থান দৃশ্যমান। নাসিমা খান মন্টি নারী সাংবাদিকতার এক বাতিঘরের মতো। তিনি নিজে স্বামী, তিন কন্যা নিয়ে সংসার সামলানোর পাশাপাশি একটি জায়মান মিডিয়া হাউজেও সময় দিচ্ছেন, নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সফলতা ছিনিয়ে আনতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি এরমধ্যে এটা প্রমাণ করেছেন যে নারীরাও গণমাধ্যমের নেতৃত্বে এসে আলো ছড়াতে পারেন।

মিতভাষী, সদালাপী, নিরহংকারী নাসিমা খানের কাজে বিরক্তি নেই। এক চিলতে হাসি মুখে নিয়ে তিনি যেন সবাইকে জয় করার জন্যই এই ভুবনে এসেছেন। ভাষার মাসে জন্ম বলেই বুঝি তিনি ভাষাপ্রেমিক এবং দেশপ্রেমিক। সহকর্মীদের প্রতি তার দরদ সবাইকে আপ্লুত রাখে।

জন্মদিনে নাসিমা খান মন্টির জন্য শুভ কামনা। তিনি আরো আলো ছড়াবেন, অলংকার হিসেবে নয়, দক্ষতা এবং যোগ্যতার বলেই তিনি আরো বহুদূর এগিয়ে যাবেন, অন্যদের অনুপ্রাণিত করবেন, হয়ে উঠবেন বাতিঘর- জন্মদিনে তার কাছে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। শুভ জন্মদিন মন্টি আপা।

লেখক : গ্রুপ যুগ্ম সম্পাদক, আমাদের নতুন সময়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়