আমিরুল ইসলাম : নির্বাচন পেছানো ও হলের বাইরে ভোটকেন্দ্র করার দাবি না মেনে তফসিল প্রকাশ। সন্তুষ্ট নয় ছাত্রদল ও বাম সংগঠনগুলো। ডাকসু নির্বাচনের পক্ষে ও বিপক্ষে ক্যাম্পাসে মিছিল হয়েছে। কীভাবে সুষ্ঠ নির্বাচন হতে পারে? এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা সংযোজন করতে হবে।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত করে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। এর বিপক্ষে আছে ছাত্রদল ও বাম সংগঠন। তারা বলছে, তিন মাস পিছিয়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করে নির্বাচনে যাওয়া উচিত। কিন্তু প্রশ্ন হলো, তিন মাস অপেক্ষা করলে কী শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত হবে, বাংলাদেশে জাতীয় পর্যায়ের নির্বাচনও কখনো শতভাগ সুষ্ঠু পরিবেশে হয়নি। ডাকসু নির্বাচন হবে এমনটা ধারণা করা বালখিল্যতা বলা যেতে পারে। কাজেই নির্বাচনের বিপক্ষে যা মন্তব্য তার সঙ্গে যুক্তিসঙ্গত কারণে একমত হবার কোনো উপায় নেই।
সৈয়দ আনোয়ার হোসেন আরো বলেন, যারা পক্ষে আছে তাদের যুক্তি আছে ২৮ বছর পর নির্বাচন হতে যাচ্ছে, নির্বাচন হওয়াটাই বড় কথা। আরেকটি হচ্ছে, অনেকেই দাবি করেছিলো একাডেমিক ভবনেই নির্বাচন কেন্দ্র দেয়া হোক। সে ব্যাপারে বিধিবিধানগত একটু সমস্যা আছে। ছাত্রাবাসগুলো কিন্তু এক একটি প্রতিষ্ঠান। ছাত্রছাত্রীদের সনদে প্রতিষ্ঠানের নাম থাকে। সেক্ষেত্রে ভোট বাইরে হবার সুযোগ নেই। তবে ভোট যেন সুষ্ঠুভাবে হয় তা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা থাকতে হবে। সিসি ক্যামেরা যদি সংযোজন না করা হয় তাহলে প্রশ্নবিদ্ধ হতে বাধ্য ডাকসু নির্বাচন।