লিয়ন মীর : তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এবং মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল বলেছেন, নদী দখলকারীরা প্রভাবশালী, কোনো না কোনোভাবে ক্ষমতার সাথে এদের সম্পর্ক আছে। ক্ষমতার সাথে সম্পর্ক না থাকলে তারা বারবার নদী দখল করতে পারতো না। এর আগেও আমরা অনেকবার নদী দখলকারীদের উচ্ছেদ করতে দেখেছি, কিন্তু কিছুদিন পর আবার সেই জমি দখল হয়ে গেছে। দখলকারীরা ক্ষমতাধর হওয়ায় কারণেই এমনটা হয়েছে। তবে সরকার যদি শেষ পর্যন্ত এই প্রভাবের ঊর্ধ্বে উঠে অভিযান সম্পন্ন করতে পারে, দুর্নীতির কাছে মাথা নত না করে, তাহলে এবারের উচ্ছেদ অভিযান সফল হবে।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, নদী আমাদের প্রাণ। নদী বাঁচাতে নদীকে দখলমুক্ত করতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। তবে অধিকাংশ সময়ে দেখা যাচ্ছে, নদী যারা দখল করেছে তারা খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না। নদী দখলমুক্ত করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। উচ্ছেদের সাথে সংশ্লিষ্টদের এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে এবং তাদের কীভাবে ক্ষতিপূরণ দেয়া যায় সে বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, যারা নদী দখল করে অর্থ উপার্জন করেছেন, তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আদালত কিন্তু এটা জানে কারা নদী দখল করে টাকার পাহাড় গড়েছে। আর কারা এই জমি ব্যবহার করেছে। তাই সম্পূর্ণ কার্যক্রমটা আদালতের মাধ্যমেই দ্রুত সমাধান করা উচিত।
আপনার মতামত লিখুন :