মঞ্জুর মোর্শেদ : বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আহসান মনসুর বলেন, দুর্নীতি আর অনিয়মে ব্যাংকের ‘স্বাস্থ্য’ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ব্যাংক হচ্ছে অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিশাল খাত। এ খাতে ব্যাংকে যে অনিয়ম হচ্ছে তা দেখার মনে হয় কেউ নেই। ব্যাংকের অনিয়ম দূর করতে না পারলে দেশ বিশাল সমস্যার সম্মুখীন হবে বলে তিনি মনে করেন। অনেক দিন থেকে একটা শঙ্কা হচ্ছে এটা একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না। এ সমস্যাটা আজকে থেকে না এটা অনেক দিন থেকে এ অনিয়ম চলছে। সূত্র : ২৪ নিউজ
তিনি আরো বলেন, ২০০১ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত খুব ব্যাংক খাত ভাল ছিল। কিন্তু এর পর থেকে নানা অনিয়ম শুরু হয় তা যেন আর থামছে না। দুর্নীতি অনিয়ম বাড়ছে আর বাড়ছে। অনেক দিন থেকে দেখা যাচ্ছে হল মার্ক বিসমিল্লাহ গ্রæপ এর মত বিভিন্ন নামে ঋন নিতে থাকে পরিশোধ বা ব্যাংক আদায়ের কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এখানে ব্যাংক কর্মকর্তারাও বড় বড় ঋণ নিয়ে মাঝে মাঝে লাপাত্তা হয়ে যায়। কিন্তু তার সঠিক ডকুমেন্টও মাঝে মাঝে খুঁজে পাওয়া যায় না। জাহালম এরমত লোককে তিন বছর জেল খাটতে হয়েছে। সঠিক তথ্য গোপন করা তথা সঠিকভাবে ঋণ আদায় করতে না পারায় আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে। আবার অনেকগুলো নতন ব্যাংক হওয়ায় নতুন পুরাতন এর সার্ভিস বেশি দিতে গিয়েও এ অনিয়ম গুলো হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি জানান, আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণ ও সরকার কে সতর্ক করা। সরকার সমস্যা র্ধিারন করে প্রয়োজনে সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংক বন্ধ করে দিতে হবে । তা না করে ভর্ভুকি দিয়ে চালিয়ে যান এটা একটা সমস্যা। ইতিমধ্যে যেমনটি ঘটেছে ফারমার্স ব্যাংক যা নাম পরিবতর্ন করে পদ্মা ব্যাংক। সরকার ১৬ হাজার কোটি টাকা বাজেট থেকে দিয়েছে কেন দিয়েছে এতে তারা আরো সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। কার টাকা দেয়া হচ্ছে এটা কি যুক্তি সংগত। এতে ব্যাংকের স্বাস্থ্য নষ্ট হচ্ছে। ব্যাংকের মালিকানা হয়ে গেছে কিছু মুষ্টিমেয় লোকের হাতে। ব্যাংকের আমানতে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে না। টাকা সঞ্চয় পত্রে যাচ্ছে। এসব কারণে সরকার যে টার্গেটে পোঁছার সেখানে পৌঁছাতে পারছে না। গত বছর যা সমস্যায় পড়েছে এ বছর সে সমস্যা নির্ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে কিন্তু তা হচ্ছে না। এ কারণে অনিয়ম থেকে কোনোভাবে বের হতে পারছে না ব্যাংকগুলো।
তিনি মনে করেন, ব্যাংকিং কমিশন দরকার । কমিশন ছাড়াও কাজ গুলো সম্পূর্ণ করা যায়। এই খাতের স্বাস্থ্যটাকে ভাল করতে হলে সরকার ভালভাবে দৃষ্টি দিতে হবে। সরকার সুদৃষ্টি দিলে এ সকল সমস্যা সমাধান হবে।