আক্তারুজ্জামান : বিপিএল মানেই যেন ঢাকার আধিপত্য। আগের পাঁচ আসরের চারটিতেই ফাইনাল খেলেছিল রাজধানীর দলটি। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে ২০ বল বাকি থাকতেই রংপুর রাইডার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়ে পঞ্চমবারের মতো ফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করে নিলো সাকিব আল হাসানের দল। শুক্রবার ষষ্ঠ আসরের ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হবে খালেদ মাহমুদ সুজনের শিষ্যরা।
আন্দ্রে রাসেল, রনি তালুকদার ও সাকিব আল হাসানের ব্যাটে ১৪৩ রানের বড় লক্ষ্যটা একেবারে মামুলি বানিয়েছে ঢাকা। রাইডার্স বোলারদের কোনো ধরনের সুযোগ না দিয়ে ৩ ওভার ও ২টি মোট ২০টি বল বাকি থাকতেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে সাকিববাহিনী।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ¯œায়ুচাপে ঠাসা দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে প্রথম অংশে জয় হয়েছিল ডায়নামাইটস বোলারদেরই। সাকিব, রুবেল রংপুর রাইডার্সের ব্যাটসম্যানরা তেমন সুবিধা করতে পারেননি। ঢাকার বিরুদ্ধে নির্ধারিত ওভার থেকে ৪ বল বাকি থাকতেই রংপুর গুটিয়ে গেছে মাত্র ১৪২ রানে।
টস জিতে নেয়া সিদ্ধান্তটাকে সঠিকই প্রমাণ করেন সাকিব আল হাসানের দল। শুরুতে অবশ্য তেমনটা মনে হচ্ছিল না। অন্তত যতক্ষণ দুই ওপেনার ক্রিস গেইল এবং নাদিফ চৌধুরী ক্রিজে ছিলেন। ওপেনিংয়ে সুযোগ পেয়ে সেটাকে ভালোই কাজে লাগাচ্ছিলেন নাদিফ চৌধুরী। তার ১২ বলে ২৭ রানের ইনিংস দারুণ শুরু এনে দেয় রংপুরকে।
তিনি ফিরে যাওয়ার পরপরই তাকে অনুসরণ করেন ক্রিস গেইল (১৫)। ওই ওভারেই চলতি বিপিএলের সর্বোচ্চ রানের মালিক রাইলি রুশোকে রানের খাতা খোলার আগেই ফেরান রুবেল। সেরা দুই ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপদে পড়ে রংপুর। রবি বোপারাকে সঙ্গে নিয়ে দলকে দিশা দেয়ার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ মিঠুন (৩৮)। দলীয় ১০৬ রানে তাদের জুটি ভাঙেন কাজী অনিক। এরপর বিনি হাওয়েল (৩), মাশরাফি (০), নাহিদুল (৪), ফরহাদ রেজা (২) ও শফিউল (০) দ্রুতই ফিরে যান।
বিপর্যস্ত রংপুরের এক পাশ আগলে খেলতে থাকা রবি বোপারাকে আর কেউ সেভাবে সঙ্গ দিতে পারেননি। অর্ধশতক থেকে মাত্র ১ রান দূরে থাকতে ফিরে যান বোপারা (৪৯)। এরই সাথে শেষ হয় রংপুরের ইনিংস। রংপুরের হয়ে রুবেল ৪টি, কাজী অনিক ও আন্দ্রে রাসেল দুটি করে এবং শুভাগত ও সাকিব একটি করে উইকেট নেন।