মঈন মোশাররফ : বাংলাদেশ ক্যান্সার সমিতির প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক বলেছেন, দেশে ক্যান্সার রোগ সনাক্ত করার জন্য ভালো মানের ল্যাব আছে, কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। প্রথমে প্রয়োজন আমরা রোগ শনাক্ত করতে পারছি কী না? যা সনাক্ত করতে পারছি তা প্রয়োজনের তুলনায় কতটুকু। আমাদের ক্যান্সার চিকিৎসায় সার্জারি ব্যবস্থাপনা অনেক কম।
আমরা ১০ শতাংশ মানুষকে সার্জারি চিকিৎসা দিতে পারি। বড় একটি পদ্ধতি আছে রেডিও থেরাপি বা বিকিরণ রশ্মির মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া। আমাদের আছে ২৪ টি মেশিন যেখানে প্রয়োজন ১৭০ টি তাহলে কীভাবে চিকিৎসা করবো। আমি পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ বলবো না। বলবো আমরা মোটেও সন্তুষ্ট নই।
সোমবার বিবিসি বাংলাকে তিনি আরো বলেন, অনেক ক্যান্সারের রোগী বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে। বাংলাদেশে এখন ক্যান্সারের সমস্যা চিহ্নিত হওয়ার মতোই সমস্যা। যে তথ্য উপাত্ত আমাদের কাছে আছে তাতে বাংলাদেশে ১৪ থেকে ১৬ লাখ ক্যান্সারের রোগী আছে।
প্রতি বছর তিন লাখ নতুন ক্যান্সারের রোগী পাই। আমরা যদি আমাদের জনসংখ্যার কথা চিন্তা করি সে অর্থে রোগীর সংখ্যা নিয়ে চিন্তা করার কথা না। কিন্তু একটা কথা বলার আছে আমরা যদি ১০০ জন ক্যান্সারের রোগী পাই তার মধ্যে ৪০ থেকে ৬০ বছরের রোগী বেশি পাই তারা কিন্তু একটি পরিবারের আয়ের উৎস । আমরা যদি ভয়াবহতাকে সংখ্যা দিয়ে বিবেচনা করি তাহলে প্রতিকার ও পতিরোধ হবে না।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে ২ থেকে ৩ লাখ মানুষ প্রতিবছর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তের পরিবার বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। ক্যান্সার চিকিৎসার তিনটি পদ্ধতি আছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অপারেশনের মাধমে চিকিৎসা করার প্রয়োজন পড়ে। তার পর রেডিও থেরাপি বা বিকিরণ রশ্মির মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া। আরেকটা হচ্ছে ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া যেটাকে আমরা কেমোথেরাপি বলি ।
আপনার মতামত লিখুন :