শিরোনাম
◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয়

প্রকাশিত : ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৩:২৩ রাত
আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৩:২৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কথার লড়াই, জনপ্রিয়তার বড়াই

বিভুরঞ্জন সরকার : ভোটের লড়াই আপাতত শেষ হয়েছে। কিন্তু কথার লড়াই অব্যাহত আছে। এ লড়াই চলছে, চলবে। আমাদের দেশে একটি কথা চালু আছে, সুতা ঘঁষলে চিকন হয় আর কথা ঘঁষলে হয় মোটা। আমাদের রাজনীতিতে কথা মোটা করার লড়াই বুঝি শেষ হবে না। আমরা ঐক্যের চেয়ে বিরোধ পছন্দ করি বেশি। একমত না হয়ে দ্বিমত পোষণেই আমাদের আনন্দ অধিক। দল করতে গিয়ে দলাদলি বাড়াই। ঐক্যবদ্ধ হতে গিয়ে ভাঙন ধরাই। এসব নিয়েই চলছে আমাদের বড়াই।

ভোটের পরের কথার লড়াইয়ের একটি নমুনা :

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘নেতিবাচক রাজনীতির কারণে বিএনপির জনপ্রিয়তা এখন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। বিগত নির্বাচনেই তার প্রমাণ পেয়েছে’।

আবার বিএনপি নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা তলানিতে এসে ঠেকেছে। আওয়ামী লীগের পায়ের নিচে মাটি নেই।

এখন আমরা আমজনতা কার কথা ঠিক বলে ধরে নেবো? আওয়ামী লীগের, না বিএনপির? নাকি দুই দলের কথাই আংশিক সত্য। দুই দলের কথা এক সঙ্গে সমান সত্য হতে পারে না। আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা যে তলানিতে ঠেকেনি, তাদের পায়ের নিচে যে মাটি আছে, সেটা তারা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে নির্বাচনে। তারা ভোটে জিতেছে। সরকার গঠন করেছে। মানুষের ক্ষোভ বা বিরোধিতার বহিঃপ্রকাশ নেই।

বিএনপি যে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছে, তাদের পায়ের নিচের মাটি যে শক্ত সেটা প্রমাণ করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপি যা বলে তা করতে পারে না। বিএনপির আহ্বানে সাধারণ জনগণ তো দূরের কথা, দলের নেতা-কর্মীরাই সাড়া দেন না। বিএনপি নেতারা ভোটকেন্দ্র পাহারা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কাউকে কেন দেখা গেলো না পাহারা দিতে? পুলিশের ভয়ে? মামলা-হামলার ভয়ে? এই ভয়কে জয় করতে না পারলে কেবল বক্তৃতায় অর্থহীন উত্তেজনা ছড়ানো কেন? অক্ষম আস্ফালন বন্ধ না করলে বিএনপি জনআস্থা অর্জন করতে পারবে না।

বিএনপি নেতা ও বিশিষ্ট আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন মনে করেন, আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব নয়। তিনি আন্দোলনের মাধ্যমে দলনেত্রীকে মুক্ত করে আনার কথা বলেছেন। আইনের মানুষ বলছেন আইনবহির্ভূত কথা। প্রশ্ন হলো, আন্দোলন করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার ক্ষমতা কি বিএনপির আছে? খালেদা জিয়াকে জেলের বাইরে আনার ব্যাপারে দেশের মানুষের মধ্যে কি কোনো আগ্রহ আছে? নির্বাচনের আগে ডা.জাফরউল্লাহ চৌধুরী, কাদের সিদ্দিকী, মাহমুদুর রহমান মান্না খালেদা জিয়াকে জেল থেকে বের করে আনার হুংকার দিয়েছিলেন। এখন আর এ নিয়ে মুখ খুলছেন না। যা পারবেন না, তা বলে কেন লোক হাসানোর কাজ করেন? সরকার কথা রাখে না বা রাখেনি বলে সারাক্ষণ অভিযোগ করছেন। আপনারা নিজেরাই যে একটি কথাও রাখতে পারেন না, তার বেলা?

লেখক : গ্রুপ যুগ্ম সম্পাদক, আমাদের নতুন সময়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়