তরিকুল ইসলাম : বিশ্বব্যাপী মাতৃভাষার অধিকার ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা সংরক্ষণে জাতিসংঘে বাংলাদেশ তার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বলেছেন, পাহাড়ি জেলাগুলোতে তিনটিসহ মোট সাতটি বিশেষায়িত সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এসব ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ সব উপজাতীয় সংস্কৃতি, রীতি-নীতি, ঐতিহ্য ও ভাষার প্রসার ও সংরক্ষণে কাজ করা হচ্ছে।
এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট ভাষার সংরক্ষণ গবেষণা ও এ সংক্রান্ত মেধাভিত্তিক কাজ বাস্তবায়ন করে চলেছে। বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীদের নিজস্ব মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পাঁচটি নৃগোষ্ঠীর নিজস্ব মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক প্রকাশিত হয়েছে। এসব অঞ্চলে প্রায় ১৩২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় তাদের মাতৃভাষায় শিক্ষা দিচ্ছে।
শুক্রবার স্থানীয় সময় সকালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষাসমূহের আন্তর্জাতিক বর্ষের বৈশ্বিক উদযাপন’ উপলক্ষে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে এ অঙ্গিকারের কথা জানান জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, আমাদের সব জাতীয় নীতি, কর্মসূচি ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় তাদের অধিকার সংরক্ষণ করেছি যার স্বীকৃতি হিসেবে ইউনেস্কো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মানজনক ‘কালচালার ডাইভার্সিটি’ পুরস্কার প্রদান করেছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ এবছর ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ ও ‘ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর ভাষার আন্তর্জাতিক বর্ষ’ একসঙ্গে উযাপন করবে। উভয় উদযাপনই ভাষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। চলতি বছরেই বাংলাদেশ ‘শান্তির সংস্কৃতি’র আনা রেজুলেশন গ্রহণের ২০ বছর পূর্তি উদযাপন করবে। সবমিলিয়ে ভাষা, সংস্কৃতি ও শান্তির মেলবন্ধনে অর্জিত আমাদের একতাকেই আমরা যেন মহাসমারোহে উদযাপন করতে যাচ্ছি।
আপনার মতামত লিখুন :