শিরোনাম
◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ৩১ জানুয়ারী, ২০১৯, ০৮:৩৬ সকাল
আপডেট : ৩১ জানুয়ারী, ২০১৯, ০৮:৩৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চুনারুঘাটে গাছ ও গাছির অভাবে ঐতিহ্যের খেজুর রসের ব্যবসা হারিয়ে যাচ্ছে

সাত্তার আজাদ, সিলেট: সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ পরিচালক এম ইলিয়াস জানালেন, সিলেটের চুনারুঘাটের খেজুর রস আহরণের চাক্ষুস স্বাক্ষী তিনি। তার বাড়ি ওই এলাকায় হওয়াতে ছোটবেলা ট্রেনে চড়ে যেতে রাস্তারধারে সারি সারি খেজুর গাছে গাছির রস আহরণের দৃশ্য চোখে পড়ত। এখন গাছও কমে গেছে, গাছিও পেশা বদল করেছে। তাই সেখানে ঐতিহ্যের খেজুর রস ব্যবসা হারিয়ে যেতে বসেছে।

কৃষি বিভাগের ডিডির এমন কথার ছাপ রয়েছে চুনারুঘাট এলাকাজুড়ে। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে পিঠা-পায়েশের ঐতিহ্য। দিনকে দিন খেজুর গাছের সমাহারও আগের মতো চোখে পড়ে না। এজন্য এখন আর গাছিদের আগের মতো ছুটাছুটিও নেই।
চুনারুঘাট উপজেলা ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এক সময় শীত মৌসুমের শুরুতেই গ্রামগঞ্জে খেজুরের গাছ কেটে রস সংগ্রহের জন্য গাছিরা ব্যস্ত থাকতেন। এখন আর তা দেখা যায়না। নেই সড়কের দু'পাশে খেজুর গাছের সারি।

দুইযুগ আগেও চুনারুঘাটের প্রতিটি হাট বাজারে বিক্রি হতো সুস্বাদু এই খেজুরের রস। শতি মৌসুমে আমন ধান কাটার পর গৃহবধুরা এই ধানের চাল থেকে ঢেঁকি ছুটা চালের আটা ও এই রস দিয়ে হরেক রকমের পিঠা, পায়েশ তৈরি করতেন। সেই উৎসব এখন হারিয়ে যাচ্ছে।

সিলেট কৃষি বিভাগ জানায়, আগে শীত মৌসুমে ৫০ থেকে ৬০ মন গুড় তৈরি করে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করে সংসার চালাতো একেকটি পরিবার। এখন গাছ কমে যাওয়ায় যে রস পাওয়া যায় তা দিয়ে পরিবারের সম্পূর্ণ চাহিদাই মেটানো সম্ভব হয় না। তাই পেশা বদল করছে গাছিরা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, খেজুর গাছের চাহিদা ইটভাটায় বেশি হওয়ায় এবং দামও বেশি পাওয়ায় মানুষ দেদারছে খেজুর গাছগুলো বিক্রি করছে। ইটভাটার মালিকরাও অধিক মুনাফার আশায় কয়লার পরিবর্তে এই খেজুর গাছ পোড়াচ্ছেন। ফলে খেজুর গাছের সংকট দেখা দিয়েছে।

সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আলতাবুর রহমান বলেন, খেজুর রস আহরণের চেয়ে অন্য পেশা সহজ ও লাভজনক হওয়াতে অনেকেই ভিন্ন কাজে ঝুঁকে পড়েছেন। তাই খেজুর রস আহরণ ক্রমে হারিয়ে যাচ্ছে। তবে আমরা গাছিদের ঐতিহ্যের এ পেশায় ঠিকে থাকার পরামর্শ দিচ্ছি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়