মঈন মোশাররফ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক ড. আফরোজা হোসেন বলেছেন, কোন মানুষের শরীরের রং বা গড়ন নিয়ে আড়ালে অথবা প্রকাশ্যে নেতিবাচক মন্তব্য করে ওই ব্যক্তিকে অসম্মান করার প্রবণতা আছে সমাজের অনেকের মধ্যেই। তবে এই কট‚ক্তি যদি আসে পরিবার থেকে তাহলে এর প্রভাব ওই ব্যক্তির ওপর ভয়াবহ হতে পারে।
একেকজন মানুষের মানসিক গ্রহণযোগ্যতা একেক রকম। এসব কথায় অনেকে হীনমন্যতা, বিষন্নতায় ভুগতে থাকে। যেটি এক পর্যায়ে মানসিক অসুস্থতা, মাদক সেবন, অসৎ সঙ্গ কিংবা আত্মহত্যার প্রবণতার দিকে ঠেলে দিতে পারে। বুধবার বিবিসি বাংলাকে তিনি আরো বলেন, সমাজ ও পরিবার থেকে শারীরিক গড়ন ও রং নিয়ে কটূক্তির শিকার হয়ে অনেকে আত্মহননের দিকে ঝুঁকে পড়ছে।
তিনি বলেন, একে সামাজিক ব্যাধি হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বডি শেমিংটা প্রতিমুহুর্তে এতো বেশি হারে হচ্ছে যে অনেকেই সুইসাইডাল হয়ে পড়েছেন। পরিবার থেকেই যখন তাকে কট‚ক্তি করা হয় তখন সে কোথায় যাবে কোথায় নিজেকে গ্রহণযোগ্য করতে পারবে, সেই জায়গাটা খুঁজে পায়না।
বিশেষ করে বিয়ের ক্ষেত্রে নারীদের গয়ের গড়ন ও রং নিয়ে আনেক কথা হয়ে থাকে। এ বিষয়টি তাদের জন্য অপমান জনক। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় এ ঘটনাগুলো ঘটে থাকে। তিনি আরো বলেন, এতে তারা সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, অন্যকে সম্মান করার প্রবণতা কমে যায়। এ পরিস্থিতি পরিবর্তনে পরিবারের বয়স্ক সদস্যের, কারও শরীরের গড়ন নিয়ে কিছু না বলার অভ্যাস গড়ার পরামর্শ দেন তিনি।