শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ২৯ জানুয়ারী, ২০১৯, ০৪:০৮ সকাল
আপডেট : ২৯ জানুয়ারী, ২০১৯, ০৪:০৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চা উৎপাদনে আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ

স্বপন দেব, মৌলভীবাজার: চা উৎপাদনে আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। চা চাষের ইতিহাসে এবার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উৎপাদনের রেকর্ড গড়েছে চা শিল্প। প্রতিকূল আবহাওয়ায় শুরু ২০১৮ সালে চায়ের এমন উৎপাদন রেকর্ড সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার চা –শিল্পের জন্য সুখবরই বটে। চা বোডের তথ্য অনুযায়ী ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালিনীছড়া চা-বাগানে প্রথম বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চা চাষ শুরু হয়। বর্তমানে চা বোর্ডের নিবন্ধিত ১৬৬ টি চা– বাগান রয়েছে। এর মধ্যে মৌলভীবাজারেই ৯২টি চা বাগানের অবস্থান। বাকীগুলো হচ্ছে হবিগঞ্জে ২৪টি, সিলেটে ১৯টি, চট্টগ্রামে ২২ টি, পঞ্চগড়ে ৭টি, রাঙামাটিতে ২টি ও ঠাকুরগাঁওয়ে ১টি। এসব বাগানে মোট জমির পরিমাণ ২ লাখ ৭৯ হাজার ৪৩৯ একর।

চা গবেষক ও বিশেষজ্ঞদের মতে চা বাগানের জমি সঠিকভাবে ব্যবহ্রত হচ্ছে না। ১০০ ভাগের মধ্যে মাত্র ৫২ ভাগে রয়েছে চায়ের চাষ। বাকি ৪৮ ভাগ পতিত ও চা চাষের জন্য লীজ নিয়ে ভিন্ন খাতে ব্যবহার হচ্ছে। সরকারি পৃষ্টপোষকতা, সঠিক মনিটরিং, সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা, কম মূল্যে সার, কীটনাশক সরবরাহ ও ক্লোনিং চা গাছ রোপণ করলে উৎপাদন দ্বিগুণ করা সম্ভব হবে।

লন্ডন ভিত্তিক একটি আর্ন্তজাতিক চা কমিটি কর্তৃক’ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী চা উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে নবম স্থানে। একটানা কয়েক বছর ধরেই দশম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। গত শতাব্দীর শেষে চা উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১১তম। ১৯৮৯ সালে ছিল ১২তম। সংস্থাটির হিসাবে চা উৎপাদনে এখন শীর্ষে রয়েছে চীন। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ভারত। উৎপাদনে বাংলাদেশের ওপরে রয়েছে কেনিয়া, শ্রীলঙ্কা, তুরস্ক, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া ও আর্জেন্টিনা। এবার (২০১৮ সাল) প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও উৎপাদন প্রত্যাশার চেয়ে ভাল বলে জানিয়েছেন বাগানের মালিক ও চা বোর্ডের কর্মকর্তারা। চা বোর্ড এবার ৭ কোটি ২৩ লাখ কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। বছর শেষে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উৎপাদন ৯৭ লাখ কেজি বা ১৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি হয়েছে। সাধারণত ৩ থেকে ৫ বছরের গড় উৎপাদন হিসাব করে চায়ের উৎপাদনের ধারাবাহিকতা হিসাব করা হয়। গত ৩ বছরে গড় উৎপাদন ৮ কোটি ২০ লাখ কেজি। এর আগের ৩ বছরে (২০১৩-২০১৫) ছিল ৬ কোটি ৫৮ লাখ কেজি। চা– বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা সংসদের সভাপতি মো. শাহ আলম বলেন, কিছুটা প্রতিকূল আবহাওয়া বিবেচনায় নিলে এবার চা উৎপাদন খুবই ভাল হয়েছে। চা– বাগানগুলোতে এখন পুরনো চারা উঠিয়ে নতুন চারা লাগানো হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া কয়েক বছর ধরে চলছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী দিনে চা উৎপাদন যে বাড়বে তাতে সন্দেহ নেই। ২০০৯ সালে চা –শিল্পের উন্নয়নে নেয়া কৌশলগত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চা চাষের আওতা বাড়ানো হচ্ছে। সমতল ভূমিতে চা চাষ হচ্ছে।

বাংলাদেশ চা বোডের উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা) মো. মুনির আহমেদ জানান, চা চাষের আওতা ও উৎপাদন বাড়ানোর নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। চা উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারও বেড়েছে। চা বোর্ড থেকে তদারকি করা হচ্ছে। সরকার এ খাতে উৎপাদন বাড়াতে যে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে তার কারণেই এবার কিছুটা প্রতিকল আবহাওয়ার মধ্যেও উৎপাদনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়