সাইদুর রহমান : ইসলাম সর্বদা ন্যায় বিচারের নির্দেশ দিয়েছে। স্বার্থ, নৈকট্য যেন বিচারকে প্রভাবিত না করে এটা বিশেষভাবে কুরআনে বর্ণিত হয়েছে। এজন্য বিচারকার্যে অসততা , অন্যায়, দুর্নীতি হারাম ও মারাত্মক অপরাধ। বিচারক সেজে বিচারকার্যে দুর্নীতি করাও আরো জঘন্য অপরাধ। বিচারকের জন্য ইনসাফ ও সততা অবলম্বন করা অপরিহার্য।
এ বিষয়ে হাদীসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে শাসক আল্লাহর নাজিলকৃত বিধান অনুসারে বিচার করে না, আল্লাহ তার নামাজ কবুল করেন না।’ (মুসতাদরাকে হাকিম)
তিনি আরো বলেন, ‘এক শ্রেণির বিচারক জান্নাতে যাবে, আর দুই শ্রেণির বিচারক জাহান্নামে যাবে। যে বিচারক জান্নাতে যাবে, সে হলো এমন বিচারক, যে সত্য ও ন্যায়কে যথার্থ উপলব্ধি করে এবং তদনুযায়ী বিচার করে। পক্ষান্তরে যে বিচারক সত্য যথার্থ উপলব্ধি করেও ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যায় রায় দেয়, সে জাহান্নামি। তদ্রুপ যে বিচারক সত্যকে যথার্থ উপলব্ধি না করে স্বীয় ইচ্ছানুযায়ী রায় দেয়, সে-ও জাহান্নামি।’ (আবু দাউদ)
আপনার মতামত লিখুন :