শিরোনাম
◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের

প্রকাশিত : ০৪ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৬ দুপুর
আপডেট : ০৪ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এশিয়াজুড়ে ইয়াবার কালো থাবা

আসিফুজ্জামান পৃথিল : মিয়ানমারের গহীন গ্রীষ্মমন্ডলীয় অরণ্য থেকে শুরু করে হংকং কিংবা সাংঘাই এর আলোকজ্জল রাজপথ। সমগ্র এশিয়া জুড়েই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লড়াই করতে হচ্ছে এক সিনথেটিক নেশাদ্রব্যের সঙ্গে। গোলাপি রঙের এই মরণনেশার নাম মেথামফেটামিন। প্রচলিত অর্থে ইয়াবা। এই লড়াই এ এখন পর্যন্ত পরাজিতের দলেই রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীগুলো। কোন মতেই বাগে আনা যাচ্ছে না এই নেশাদ্রব্যকে।

ক্রিস্টাল আকারের মেথামফেটামাইন বা মেথ এবং ইয়াবা (মেথ এর সঙ্গে ক্যাফেইন মিশিয়ে বানানো ট্যাবলেট) দুটোরই আকাশছোঁয়া চাহিদা রয়েছে এশিয়ান দেশগুলোতে। সেই মাদক ঠেকাতে ফিলিপাইন এবং বাংলাদেশের সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী রীতিমত যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। ফলশ্রুতিতে নিহত হয়েছে অনেকে। এশিয়াজুড়ে মেথ এর এই বিধ্বংসী বিস্তারে জাতিসংঘ পর্যন্ত শঙ্কিত। বয়স, লিঙ্গ, ধর্ম, সামাজিক অবস্থান কোন সীমারেখাই নেই এই মাদকের জনপ্রিয়তার। নিজের ১৬ বছরের কর্মজীবনে এর আগে কোন মাদকের এতটা একক জনপ্রিয়তা দেখেননি জাতিসংঘের মাদক এবং অপরাধ বিষয়ক কার্যালয়ের (ইউএনওডিসি) দক্ষিণ এশিয়া প্রধান জেরেমি ডগলাস। তিনি বলেন, ‘এর সঙ্গে কোন পরিস্থিতির তুলনাই হয় না। এটি অন্যরকম এক ঘটনা।’

[caption id="attachment_728067" align="aligncenter" width="500"] ইয়াবা কারখানা[/caption]

বিশ্লেষকদের মতে মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভৌগলিক অবস্থান এবং ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিই ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত মাদক দলগুলোকে নানান সুবিধা দিচ্ছে। বিশেষত মিয়ানমারের গহীনে যে বিচ্ছিন্নতাকামি দলগুলো রয়েছে তারা নিজেরা যেমন ‘যুদ্ধের’ খরচ মেটাতে পপি চাষ করছে, তেমনি স্থানীয় নৃতাত্বিক গোষ্ঠীগুলোকেও চাষে বাধ্য করছে। মিয়ানমার সরকার নিজেদের স্বাধীনতাকামি গোষ্ঠীগুলোকে নিয়ন্ত্রনে আনতে বহুদিন ধরে অন্য নৃত্বাত্বিক গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করে আসছে। এরকম একটি গোষ্ঠী ইউনাইটেড ওয়া লিবারেশন আর্মি। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী তামটাডাও এর প্রত্যক্ষ সহায়তায় তারা নিজেরা তো সুবিশাল পপি বাগান তৈরী করেছেই, স্থানীয়দেরকেও তা উৎপাদনে বাধ্য করছে। এই পপি গাছেন নির্যাস থেকে তৈরী হওয়া আফিমেই বানানো হচ্ছে ইয়াবা। গোল্ডেন ট্রায়েঙ্গেলে (থাইল্যান্ড, মিয়ানমার-লাওস এর সীমান্তবর্তী এলাকা) উৎপাদিত আফিমও এখন ইয়াবার কাঁচামাল।

[caption id="attachment_728064" align="aligncenter" width="500"] পপিখেত পাহাড়া দিচ্ছেন এক বিদ্রোহী সেনা[/caption]

চীনের প্রস্তাবিত সিল্করোড পুনরুদ্ধার প্রকল্পও এই ড্রাগলর্ডদের জন্য আশির্বাদ হয়েই এসেছে। তারা এখন ইয়াবা চোরাচালানে বিলিয়ন ডলারের এই অবকাঠামো ব্যবহারের পরিকল্পনা করছেন! তারা শুধু এশিয়ায় সীমাবদ্ধ না থেকে ইয়াবাকে বৈশ্বিক মাদকে পরিনত করতে চান। তাদের আশা একদিন ইয়াবা হেরোইন এবং কোকেনের স্থান দখল করে নেবে! এই ৩ দেশে উৎপাদিত ইয়াবা এখন পাচার হচ্ছে সড়ক এবং সাগরপথে। বেশ কয়েকটি রুট ব্যবহার করন তা পৌঁছে যাচ্ছে ঢাকা, কলকাতা, বেইজিং, হংকং, ব্যাংকং, ম্যানিলা, জাকার্তা, সিউল, টোকিও, তাইপে, পার্থ, সিডনি, ওয়েলিংটন সহ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বড় বড় শহরগুলিতে। যাদের ঠেকাতে গলদঘর্ম হচ্ছে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি সকল বাহিনী। সিএনএন

ইয়াবা পরিবহন রুট (ভিডিও) 

https://pmd.cdn.turner.com/cnn/.e/interactive/html5-video-media/2018/10/23/trafficking_map.mp4

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়