শিহাবুল ইসলাম: বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি এবং হবেও না। তার অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া দেশে কোনো (জাতীয় সংসদ নির্বাচন) নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। রাজধানীর নয়া পল্টনে শনিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বিএনপি যে নির্বাচন করবে সেটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে। কারণ বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে যত ভোট হয়েছে সব সন্ত্রাসমূখর, উৎসবমূখর নয়। ভোট ডাকাতি হয়েছে, জনগণকে ভোট দিতে দেয়া হয়নি। জনগণের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। সুতরাং জনগণের মনে বড় ধরণের সংশয় হচ্ছে যে, শেখ হাসিনাই নির্বাচন করবেন না। কারণ সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে তাঁর বারোটা বাজবে। এই কারণেই তিনি একতরফা নির্বাচনেরই যোগারযন্তর করছেন। নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে নানা ধরণের নীল নকশা আঁটছেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই মূখ্যপাত্র বলেন, একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে আপনি দেশে অস্বাভাবিক পরিবেশ তৈরী করে রেখেছেন। একের পর এক কালা কানুন প্রণয়নের মাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে আপনারা হানাদারি শাসন টিকিয়ে রাখতে চাচ্ছেন। আর এজন্যই একতরফা নির্বাচন করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। কিন্ত আপনাদের সে আশা পূরণ হবে না। নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া দেশে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। নির্বাচনের আগে অবশ্যই সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে। খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাজা প্রত্যাহারসহ রাজবন্দীদের মুক্তি দিতে হবে। রাজনৈতিক সকল মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অবশ্যই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবি সরকারকে মানতে হবে।
দেশের আটটি অঞ্চলে আজ শুরু হওয়া ইভিএম মেলা সর্ম্পকে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) জনগণের সকল মতামতকে উপেক্ষা করে ভোটকারচুপির জন্য সরকারি হুকুমে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার করবে। বিশ্বের বিবিন্ন দেশে প্রত্যাখাত ও বির্তকিত ইভিএম ব্যবহার করে নির্বাচন কমিশন পাতানো নির্বাচন করতে চাচ্ছে।