সাইদুর রহমান: চীন ও পাকিস্তানের সামরিক হুমকির বেলায় যথেষ্ট কার্যকর রাশিয়ার এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনতে সক্ষম হয়েছে ভারত। ভারতের এ পদক্ষেপ দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নষ্ট হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তান বলছে, তার হাতে যে ক্ষেপনাস্ত্র রয়েছে তা দিয়ে এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করা যাবে।
পাকিস্তানের ন্যাশনাল কমান্ড অথরিরিট (এনসিএ) গত বছর ‘আবাবিল’ ক্ষেপনাস্ত্র ব্যবস্থা উন্নয়নের কথা ঘোষণা করে, যার এমআইআরভি ( একাধিক পরমাণু ওয়ারহেড সম্বলিত প্রযুক্তি) সক্ষমতা রয়েছে। এই ব্যবস্থা ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পরাস্ত করতে পারবে বলে ধারণা করছে পাকিস্তান। এমআইআরভি প্রযুক্তি অজর্নকে ‘পাকিস্তানের সামর্থের অচলাবস্থা নিরসন’ হিসেবে বর্ণনা করে এনসিএ। এর রেঞ্জ প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ভারত বিভিন্ন উৎস থেকে ব্যালিস্টিক মিসাইল ডিফেন্স (বিএমডি) সিস্টেম কেনার যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তারই অংশ এস-৪০০ ক্ষেপনাস্ত্র চুক্তি। এতে দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরুর পাশাপাশি এই অঞ্চলের কৌশলগত স্থিতিশীলতা নস্যাৎ হবে।
‘ত্রিয়াম্ফ’ ক্ষেপনাস্ত্র ব্যবস্থা এস-৪০০ কেনার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে ৫.৪৩ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে ভারত। পাকিস্তান ও রাশিয়ার সম্ভাব্য হামলার মোকাবেলায় ভারতের করা এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি এটি। ২০২০ সালের মধ্যে মস্কো এই ক্ষেপনাস্ত্র সরবরাহ শুরু করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারত বহুদিন ধরেই বহুস্তরবিশিষ্ট ব্যালিস্টিক মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। এস-৪০০ চুক্তি ছাড়াও ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য ইসরাইলের সঙ্গে বড় আকারের সহযোগিতা চুক্তি রয়েছে। তাছাড়া দেশীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ব্যাপকভাবে কাজ করছে তারা।
তবে পাকিস্তানের বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, পাকিস্তানের ক্ষেপনাস্ত্র থেকে ভারত নিজেকে পুরোপুরি সুরক্ষিত করতে পারবে না। কারণ দুই দেশের মধ্যে দূরত্ব খুবই কম। যুদ্ধের সময় ভারত যদিও দিল্লি ও মুম্বাইয়ের মতো বড় বড় শহরগুলোকে রক্ষা করতে পারবে। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর
আপনার মতামত লিখুন :