তানজিনা তানিন : পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব কমাতে ওয়াসার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে তৎপরতা প্রয়োজন বলে মনে করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিভার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের সব দেশে ‘ই-কোলাই’ ভাইরাস ছড়িয়ে আছে। প্রেসকিপশন ছাড়া, না বুঝে অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে ভাইরাস অনেক শক্তিশালী হয়ে যায়। যা ভাইরাসকে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী করে তোলে। তাই ব্যবস্থাপত্র ওষুধ সেবনে নিয়ন্ত্রণ আনা দরকার। আর যে ডাক্তাররা প্রেসত্রুাইব করবেন তাদের জন্য সরকারের জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক গাইড লাইনের ব্যবস্থা করা দরকার, যা বিশ্বের সব দেশে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মানব উন্নয়ন সূচকে দেশের সেবা খাতের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে দ্রুত ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ জরুরি। গ্রামে এখন ঘরে ঘরে উন্নত স্যানিটেশন ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা রয়েছে, যা আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকেও অনেক এগিয়ে। তাই গ্রামে টাইফয়েড, জন্ডিস ও ডায়রিয়ার প্রকোপ শহরের তুলনায় অনেকাংশে কম। কিন্তু ঢাকাসহ অন্যান্য নগরাঞ্চলে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ এখনও নিশ্চিত হয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে ডা. শাহিনুল আলম বলেন, সরকার পানির পরিমাণগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারলেও এর গুণগত মান নিশ্চিত করতে পারেনি। যার ফলে হাসপাতালে ডায়রিয়া-কলেরা রোগীর ভিড় বাড়ছে। সেবা খাত উন্নয়নে বাংলাদেশ একটি বিস্ময়। অল্প বিনিয়োগে বেশি সাফল্যের নিদর্শন। কিন্তু এই সাফল্য ধরে রাখতে, সরকারকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে আরও সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে।
তিনি বলেন, ওয়াসার সরবরাহকৃত পানিতে ই-কোলাই ছাড়াও আরও অনেক শক্তিশালী ভাইরাস রয়েছে, যেগুলো আমরা সহজে সনাক্ত করতে পারি না। যা মারাত্মক পানিবাহিত রোগ ছড়ায়। ধনী-গরিব সবাই আমরা রাস্তার পাশে চটপটি-ফুচকাসহ নানা খাবার খাই। এসব খাবারেও প্রচুর জীবাণু রয়েছে। সকলের উচিত স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া ও স্ট্রিট ফুড ত্যাগ করা।
আপনার মতামত লিখুন :