কান্তা আইচ রায়: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার তদন্তে জজ মিয়াকে ২০০৫ সালের ৯ জুন গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগের একটি চায়ের দোকান থেকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় সেনবাগ থানায়। এরপর ১৫ দিন সিআইডি পুলিশের হেফাজতে থাকার পর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এর গ্রেনেড হামলার মামলায় তিনি ‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি’ দেন বলে জানায় পুলিশ। অথচ জজ মিয়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় ঘটনাস্থলেই ছিলেন না। এ ঘটনার মূল আসামি তারেক রহমান সহ আরো ৫২ জন হলেও তাদের আটক না করে গ্রেফতার করা হয় জজ মিয়াকে। সাজানো হয় জজ মিয়া নাটক।
এক সাক্ষাৎকারে জজ মিয়া বলেন, আমি কিছুই জানতাম না। বিনা অপরাধে সাজা ভোগ করতে হয় বছরের পর বছর । সেই সময় আমার মা মারা যান। বিয়ে করার সময় আমি ছদ্ম নাম জালাল ব্যবহার করি। পরে শ্বশুর বাড়ির লোকজন জেনে যান আমি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি। সেই কারণে আমার বউ আমাকে ছেড়ে চলে যায়। বর্তমানে আমি সব হারিয়ে নিঃস্ব। কী দোষ ছিল আমার? এদেশে জন্মটাই কি আমার বড় অপরাধ?
২১ গ্রেনেড হামলার অনেক লোক মারা যায় আমি বেঁচে আছি জীবন্ত লাশ হয়ে।
যখন গণমাধ্যমে ফাঁস হয় যে জজ মিয়ার বিষয়টি পুলিশের সাজানো, পরে এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। আসামি করার বদৌলতে তার পরিবারকে টাকা দেওয়ার বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে। এরপর নানা ঘটনাপ্রবাহের পর ২০০৮ সালে তাকে আসামির তালিকা থেকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র জমা দেয় সিআইডি।
পরে আদালত এ মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেন। ২০০৯ সালে মুক্তি পান জজ মিয়া।