শিরোনাম
◈ ‘তুমি কেন ফুয়েল কেটে দিলে?’ ভারতীয় বিমান বিধ্বস্তের আগে পাইলটদের শেষ ককপিট ভয়েস রেকর্ডিং ◈ দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের জন্য সুখবর: মৃত্যু হলে লাশ দেশে পাঠাবে সরকার, ক্ষতিপূরণ মিলবে বীমার আওতায় (ভিডিও) ◈ বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে যাচ্ছে ভারত: পিউ রিসার্চ ◈ বেপরোয়া বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ছয় মাসে নিহত ৪৩ ◈ স্প‌্যা‌নিশ ক্যাবরেরাই থাক‌ছেন বাংলা‌দেশ ফুটবল দ‌লের কোচ ◈ সন্ধ‌্যায় নেপালের বিরু‌দ্ধে লড়াই‌য়ে নাম‌ছে বাংলা‌দে‌শের মে‌য়েরা ◈ ঢাকায় হবে এশিয়া কাপের সভা, ভারত অংশ নে‌বে না ◈ এবার যে কারণে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলেন ড. ফয়জুল হক ◈ ফিলিস্তিনকে অবিলম্বে স্বীকৃতি দিতে ব্রিটিশ সরকারকে ৬০ জন এমপির চিঠি ◈ সায়মা ওয়াজেদের ছুটি জবাবদিহির পথে গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ : প্রেসসচিব

প্রকাশিত : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৯:১৭ সকাল
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৯:১৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হয়েছে’

ফাহিম ফয়সাল : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, গোপনীয়তা নষ্ট হবার অজুহাতে আগে মানুষকে তথ্য দেওয়া হতো না। কিন্তু বর্তমানে তথ্য অধিকার আইনের কারণে মানুষের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত হ‌য়ে‌ছে। তথ্য অধিকার আইনের জন্য আমরা এখন মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলতে পারছি। এই আইন ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হচ্ছে।

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস ২০১৮ উপলক্ষে তথ্য কমিশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। এই আইনে জনগণের তথ্য পাবার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। আমাদেরকে সমাজের সকল স্তরের জনগণের তথ্য পাবার অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, তথ্য কমিশনের হিসেব অনুযায়ী বর্তমানে ১ হাজার ১২০টি পত্রিকা, ৩০টি টেলিভিশন, ২৮টি এফএম রেডিও এবং ৩২ টি কমিউনিটি রেডিও রয়েছে। এতে বোঝা যায় এদেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে সরকার।

প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ বলেন, বাংলাদেশের জন্য তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ প্রণয়ন একটি যুগান্তকারী ঘটনা। জনগণের ক্ষমতায়নে মাইলফলক। আইনটির অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো দেশের প্রচলিত অন্য সকল আইনে কর্তৃপক্ষ জনগণের উপর ক্ষমতা প্রয়োগ করে থাকে কিন্তু এ আইনে জনগণ কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষমতা আরোপ করে। সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে জনস্বার্থে তথ্য অধিকার আইনের ব্যাপক চর্চা বা প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য ‘একদিকে তথ্যের চাহিদাকারী সর্বসাধারণকে উৎসাহিত ও উজ্জীবিত করতে হবে অন্যদিকে তথ্যের যোগান দাতাগণকে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত করে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, এটি একটি শক্তিশালী নাগরিক বান্ধব আইন। প্রকৃতই জনগণের আইন। সার্বজনীন আইন। শ্রেণিগত ভেদাভেদ নির্বিশেষে সর্বস্তরের নাগরিককে রাষ্ট্রের তথ্য পাওয়ার অধিকার দেয়।

প্রধান তথ্য কমিশনার আরও বলেন, এ আইনের শুরুই হয়েছে ‘তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিতকরণের নিমিত্ত বিধান করিবার লক্ষ্যে প্রণীত আইন।’ এখানে ‘জনগণ’ শব্দটি সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ। কেন না বাংলাদেশ একটি প্রজাতন্ত্র যার অর্থই হলো জনগণের প্রাধান্য। আইনটির মূল ভিত্তি সংবিধানের ৭ ও ৩৯ ধারা। সংবিধান মতে জনগণ প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক। এই মালিকের ক্ষমতায়ণে, ক্ষমতা সুসংহতকরণে সকলের সর্বদা সচেষ্ট থাকাই একান্ত কাম্য। ক্ষমতায়নের জন্য জনগণের তথ্য অধিকার তথা তথ্যে অভিগম্যতা নিশ্চিত করা একান্ত আবশ্যক। এতে সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং সরকারি ও বিদেশী অর্থায়নে পরিচালিত বেসরকারি সংস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধিপাবে, দুর্নীতি হ্রাস পাবে ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- তথ্য সচিব আবদুল মালেক, তথ্য কমিশনার নেপাল চন্দ্র সরকার, তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম এনডিসি প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়