সুজন কৈরী: আগামী ৫ অক্টোবর থেকে অনুষ্ঠিতব্য ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা। পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকল মুক্ত রাখতে পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোনসেট, ক্যালকুলেটর, ঘড়ি, মেটালিক কলমসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস নেয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণকারী সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এক সমন্বয় সভা করেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। সভায় এসব নির্দেশনাসহ বেশ কিছু নির্দেশনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
গৃহীত ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে- পরীক্ষার দিন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবকরা পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরে ও পাশে অবস্থান করতে পারবেন না। ক্যাম্পাসে পরীক্ষার্থী ছাড়া অভিভাবকরা প্রবেশ করতে পারবে না। যে কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা প্রতিরোধে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সেইসঙ্গে প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবে মোবাইল কোর্ট। পরীক্ষার দিন সকাল সাড়ে ৮টায় কেন্দ্র খুলে দেয়া হবে। কোনো অবস্থায় সকাল সাড়ে ৯টার পরে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। কেন্দ্র ইনচার্জ ছাড়া কেউ মোবাইল ফোন কাছে রাখতে পারবে না। কেন্দ্র ইনচার্জকে দেয়া হবে এ্যানালগ মোবাইল ফোন। পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের সময় সকল পরীক্ষার্থী শরীর তল্লাশী করে প্রবেশ করানো হবে। মেয়ে শীক্ষার্থীদের তল্লাশীর ক্ষেত্রে থাকবে আলাদা তল্লাশী বুথ। তল্লাশী কাজে পুলিশের পাশাপাশি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবে। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্তে গৃহীত ব্যবস্থাগুলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশের ব্যবস্থা করা হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, দেশের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা সম্মিলিতভাবে হয়ে থাকে। ডিএমপি অতীতে যেভাবে ভর্তি পরীক্ষায় সহযোগিতা করেছে, সেভাবেই বর্তমানে ও ভবিষ্যতেও করবে। এটি আমাদের জাতীয় কাজ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একার কাজ নয়। ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্তে যে কোন গুজব বা প্রেপাগান্ডা প্রতিরোধে ডিএমপির সাইবার ইউনিটসহ তৎপর রয়েছে সরকারের অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা। ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কেউ যেন কোনো প্রকার গুজব বা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে দেশের জনশৃঙ্খলা বিঘ্ন করতে না পারে সেদিকে সকলের কঠোর নজরদারি রাখার আহবান জানান।
সমন্বয় সভায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এবিএম মাকসুদুল আলম, ঢাবির প্রক্টর ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী, চিকিৎসা শিক্ষা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. এম এ রউফ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. বিল্লাল আলম, ঢামেক হাসপাতালের অধ্যক্ষ খান আবুল কালাম আজাদ, মুগদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. শাহ গোলাম রব্বানীসহ বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রতিনিধি, ডিএমপির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :