শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০২:২৫ রাত
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০২:২৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিধবা নারীর বিয়ের জন্য ইদ্দতের প্রয়োজনীয়তা কেন?

মুহাম্মাদ আবু আখতার: কোনো স্ত্রীলোক তালাকপ্রাপ্তা কিংবা বিধবা হওয়ার পর নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার আগে অন্য কোন পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে না। শরীয়তের পরিভাষায় এ সময়সীমাকে ইদ্দত বলা হয়। অবস্থাভেদে নারীদের ইদ্দত পালনের সময় বিভিন্ন হয়। তালাকপ্রাপ্তা নারীদের ইদ্দত তিন হায়েজ পর্যন্ত। কোন নারী তালাকপ্রাপ্তা হলে অন্য কোন পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য তিন হায়েজ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এ সময় অতিবাহিত হলে বিবাহে কোন বাঁধা নেই। এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আর তালাকপ্রাপ্তা নারী নিজেদের অপেক্ষায় রাখবে তিন হায়েজ পর্যন্ত। (সূরা বাকারা: ২২৮)

তালাকপ্রাপ্তা নারী অল্প বয়স্কা হওয়ায় যদি তার হায়েজ শুরু না হয় অথবা বয়স্কা হওয়ার কারণে হায়েজ বন্ধ হয় তাহলে তার ইদ্দত তিন মাস। অর্থাৎ তালাকের পর তিন মাস হওয়ার আগে অন্য পুরুষের সাথে তার বিবাহ বৈধ নয়। আর গর্ভবতী মহিলার ইদ্দত সন্তান প্রসব পর্যন্ত । সন্তান প্রসব না হওয়া পর্যন্ত অন্য পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওযার সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যাদের হায়েজ হওয়ার আশা নেই, তাদের ব্যাপারে সন্দেহ হলে তাদের ইদ্দত হবে তিন মাস। আর যারা এখনও হায়েজ হওয়ার বয়সে পৌঁছেনি, তাদেরও অনুরূপ ইদ্দতকাল হবে। গর্ভবর্তী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তান প্রসব পর্যন্ত। যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার কাজ সহজ করে দেন। (সূরা তালাক: ৪)

বিধবা মহিলা গর্ভবতী হলে তার ইদ্দতও সন্তান প্রসব পর্যন্ত। আর যদি গর্ভবতী না হয় তাহলে তার ইদ্দত চার মাস দশ দিন। এ ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেন, আর তোমাদের মধ্যে যারা মৃত্যুবরণ করবে এবং নিজেদের স্ত্রীদেরকে ছেড়ে যাবে, তখন সে স্ত্রীদের কর্তব্য হলো নিজেকে চার মাস দশ দিন পর্যন্ত অপেক্ষায় রাখা। (সূরা বাকারা : ২৩৪)

বর্তমান মুসলিম সমাজে অনেক এলাকায় ইদ্দত পূর্ণ হওয়ার আগেই তালাকপ্রাপ্তা ও বিধবা নারীদেরকে অন্য পুরুষের সাথে বিবাহ দেয়া হয়। অথচ ইদ্দত পূর্ণ হওয়ার আগে বিবাহ দেয়া তো অনেক দূরের কথা বিবাহের প্রস্তাব দেয়াও বৈধ নয়। ইদ্দত চলাকালীন সময়ে তালাকদাতা স্বামী (এক/দুই তালাক দিলে) চাইলে তার তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীকে গ্রহণ করতে পারে। এছাড়া ইদ্দত চলাকালীন অন্য কোন পুরুষের সাথে বিবাহ সম্পূর্ণ অবৈধ। বিশেষভাবে পরকিয়া প্রেমের মাধ্যমে যেসব বিবাহ হয় সেসব ক্ষেত্রে ইদ্দত পূর্ণ হওয়ার কোন তোয়াক্কা করা হয় না। এর ফলে সারা জীবন জেনার গোনাহ হতে থাকে। এরূপ বিবাহকে বয়কট করা এবং সামাজিকভাবে প্রতিহত করা সকলের কর্তব্য।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়