আসিফুজ্জামান পৃথিল: সৌরশক্তিকে ধরা হয় এই পৃথিবীর ভবিষ্যত জ্বালানি। ধীরে ধীরে এই নবায়নযোগ্য শক্তি আমাদের পৃথিবীর অন্যতম নির্ভরযোগ্য শক্তির উৎস হয়ে উঠছে। যেসব স্থানে বিদ্যুতায়ন কঠিন বা ক্ষেত্রবিশেষে অসম্ভব সেসব স্থানকে আলোকিত করছে সৌরবিদ্যুৎ।
কিন্তু এই বিশ্বেই কিছু আকর্ষণীয় কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে স্পেস স্টেশন থেকে শুরু করে আধুনিক কারখানা।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন: উদ্ভাবনকুশলতা, প্রযুক্তি আর বৈশ্বিক সহায়তার নিদর্শন হিসেবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন প্রতিদিনি ১৬বার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। এই গবেষণা কেন্দ্রটির ৮টি সৌর ডানা রয়েছে। প্রতিটি ১১২ ফুট লম্বা এবং ৩৯ ফুট চওড়া। এই ডানাগুলোই স্টেশনটির বিপুল বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করে। নাসার দেয়া তথ্য মতে এই ডানাগুলোতে মোট ২ লাখ ৬২হাজার ৪০০টি সৌর সেল রয়েছে। যা মোট ২৭ হাজার বর্গফুট জায়গা জুড়ে বিস্তৃত।
সৈৗর বিমান: অনেকের ধারণা ভবিষ্যতের পরিবহন বিকল্প হবে সৌর বিমান। ২০১৬ সালে সোলার ইমপালস-২ কোন বাহিরের জ্বালানি গ্রহণ না করেই বিশ্ব প্রদক্ষিণে সক্ষম হয়। ১৭টি ধাপে এই প্রদক্ষিণ সম্পন্ন করেছে। এ বছরের আগস্টে এয়ারবাসের তৈরী একটি সৌরচালিত বিমান ২৫ দিন ২৩ ঘন্টা ৫৭ মিনিট টানা উড়েছে।
বিমানবন্দর: বিমানখাতে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার শুধুমাত্র বিমানে সোলার প্যানেল ব্যবহারে সীমাবদ্ধ নেই। এবছরের জুলাই এর শেষ নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ের হনলুলুর ড্যানিয়েল কে ইয়নি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪২৬০টি সোলার মডিউল সংযুক্ত করা হয়েছে। এই প্যানেলগুলো থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বিমানবন্দরটিতে বিদ্যুৎ বিল কমাতে সাহায্য করবে। এর ফলে বিমানবন্দরের বিদ্যুৎ খরচ অর্ধেক কমে যাবে।
ক্রীড়া দল: সারা বিশ্বের বেশ কিছু পরিচিত ক্লাব পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ব্যবহারের জন্য সৌর শক্তি ব্যবহার করছে। আগস্টের শেষ দিকে লস অ্যাঞ্জেলস লেকারস নিজেদের ট্রেনিং সেন্টারে ৪৫৬টি সৌর প্যানেল স্থাপন করেছে। এগুলো থেকে ২ লাখ ৪৫ হাজার কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। যা ৩৫টি বাড়িকে আলোকিত করতে যথেষ্ট।
কারখানা: বিলাসবহুল গাড়ি নির্মাতা বেন্টলি মোটরস এর কারখানার ছাদ ২০ হাজার ৮১৫টি সৌর প্যানেলে আচ্ছাদিত। বেন্টলি জানিয়েছে এই ছাদ থেকে প্রাপ্ত বিদ্যুৎ তাদের চাহিদার ৪০ শতাংশ পূরণ করে। এছাড়াও এর ফলে বার্ষিক ২১৫০ টন কম কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিস:রণ হয়। সিএনবিসি
আপনার মতামত লিখুন :