সাইদ রিপন: নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, আগামী ৩০ অক্টোবরের পর যেকোনো সময় জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। এবারের সংসদ নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ১০ কোটি ৪১ লাখ। সোমবার আগারগাঁওয়ে ইসি ভবনে সচিব তার নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ইসি সচিব বলেন, ৩০ অক্টোবরের পর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে যাবে। ৩০ অক্টোবরের পর যে কোনো সময় নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হতে পারে। নির্বাচনে প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন অনেক বড় একটি কাজ। আমি আগেও বলেছি তফসিল ঘোষণার আগে যে সব কাজ থাকে তার ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ৩০০ আসনের সীমানাপূর্ণ নির্ধারণের কাজও সম্পূর্ণ হয়েছে।
<p class="more_link">আরো পড়ুন :<a href="https://www.amadershomoy.com/bn/2018/09/10/669369.htm" target="_blank" rel="noopener">টেলিভিশন শোতে কাঁদলেন গোলাম রাব্বানী (ভিডিও)</a></p>
তফসিল ঘোষণার পরবর্তী কাজের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, তফলি ঘোষণার পর প্রিজাইডিং ও পুলিং অফিসারদের তালিকা প্রণয়ন করা এবং তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কেননা অনেকেই বদলি অথবা অবসরে চলে যান, তাই নির্বাচনের আগে এই তালিকা দেওয়া হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২ লাখ ৭ থেকে ৮ হাজার ভোট কেন্দ্র হতে পারে। ফলে আমাদের ৪০ হাজার প্রিজাডিং অফিসার, ২ লাখের মতো সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও এর থেকেও দুইগুণ বেশি পুলিং অফিসারসহ ৭ লাখের মতো ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্রয়োজন হতে পারে।
<p class="more_link">আরো পড়ুন :<a href="https://www.amadershomoy.com/bn/2018/09/10/669490.htm" target="_blank" rel="noopener">সুস্থ বলার দরকার নাই, যত পারছ ইনজেকশন মার(অডিওসহ)</a></p>
ভোটকেন্দ্র হালনাগাদের বিষয়ে সচিব বলেন, ভোটগ্রহণের ২৫ দিন পূর্বে ভোটকেন্দ্র হালনাগাতের তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। জেলা বা উপজেলা পর্যায় থেকে যে তালিকা পাঠাবে, তা আমরা তদন্ত করব নীতিমালা অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে কিনা। পরে আমরা এটি গেজেড আকারের প্রকাশ করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল মানেই হল নির্বাচন করা, নির্বাচনের মাঠে থাকা। তাই আমরা আশা করব সকল রাজনৈতিক দল আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
সচিব বলেন, ৩০০ আসনের সীমানা নির্ধারন কমপ্লিট হয়েছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সকল জেলা এবং উপজেলাতে সিডি পাঠিয়ে দেবো। ওখানে এই সিডি থেকেই ভোটার তালিকা মুদ্রণ করা হবে। এর পরবর্তীতে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। ইতিমধ্যে ৪০ হাজার ১৯৯টি ভোট কেন্দ্রের খসড়া তালিকা তৈরি হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :