শিরোনাম
◈ নিষেধাজ্ঞা শিথিল হতে পারে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র সফরে ◈ সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আরও পাঁচ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি ◈ ঢাকার ২৬টি হোটেল-রেস্তোরাঁয় পুলিশ সদস্যদের জন্য মূল্য ছাড়  ◈ বনানীর আগে বাসে যাত্রী তুললেই মামলা: ডিএমপি কমিশনার ◈ লু’র সফরকে কেন্দ্র করে ওবায়দুল কাদের সাহেবরা অস্থিরতায় ভুগছেন: রিজভী ◈ ‘জেনোসাইড জো’: যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বিক্ষোভ বাইডেনের পুনর্নির্বাচনকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে ◈ গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড দেশের ওপর ঋণের বোঝা বাড়াচ্ছে: টিআইবি ◈ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাবেক বাপেক্স এমডির সাক্ষ্য ◈ তাসকিনকে সহ অধিনায়ক করে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল ঘোষণা

প্রকাশিত : ২৯ জুলাই, ২০১৮, ০৭:৩৯ সকাল
আপডেট : ২৯ জুলাই, ২০১৮, ০৭:৩৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাকিস্তানে পরিবারতন্ত্র ভাঙলেন ইমরান

ডেস্ক রিপোর্ট  : পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিক ইমরান খান। গত কয়েক দশক ধরে দেশটির রাজনীতিতে যে পরিবারতন্ত্র জেঁকে বসেছিল আপাত তার মূলোৎপাটন করেছেন তিনি।

একেবারের জিরো থেকে তার এই অর্জন বিশ্বব্যাপী বিশেষ অর্থনৈতিক ও সামরিক পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার পেয়েছে। তার এ বিজয় নানা দৃষ্টিকোণে তুলে ধরছে মার্কিন মিডিয়া।

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গ বলেছে, ৬৫ বছর বয়সী সাবেক ক্রিকেট ক্যাপ্টেন শুরু থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার। দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে একজন যোদ্ধা তিনি। এবারের নির্বাচনে তার এ বিজয় নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোপুত্র বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপল’স পার্টির কয়েক দশকের শাসনের অবসান ঘটিয়েছে।

ভুট্টো পরিবারের কয়েকজন সদস্য পাকিস্তানকে প্রায় ১২ বছর শাসন করেছেন। নওয়াজ পরিবারের শরিফ একাই পাকিস্তানকে তিন মেয়াদে প্রায় ৯ বছর শাসন করেছেন।

পত্রিকাটি আরও বলেছে, দুর্নীতির মূলোৎপাটনে তার প্রতিশ্র“তি ভোটারদের কাছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। বিজয় ভাষণেও ইমরান খান বলেছেন, যেখানেই দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যাবে তা তদন্ত করতে প্রস্তুত তিনি।

পাকিস্তানের আধা-সামন্তবাদী বহু স্তরে বিভাজিত সমাজব্যবস্থায় ও রাজনীতিতে পিতৃতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র আর আত্মীয়করণ বিরাজ করে আসছে। গত কয়েক দশক ধরে পরিবারতন্ত্রই রাজনীতির ময়দানে প্রধানরূপে হাজির থেকেছে। প্রধান দুই দল মুসলিম লীগ (নওয়াজ) এবং পাকিস্তান পিপল’স পার্টি উভয়ের ক্ষেত্রেই এটি বাস্তব।

সুপ্রিমকোর্টের রায়ে ‘অযোগ্য’ ঘোষিত হয়ে পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই শাহবাজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর পরিকল্পনার মধ্যেও একই প্রবণতা দেখা গেছে। শাহবাজের পর সিরিয়ালে রয়েছেন নওয়াজকন্যা মরিয়ম নওয়াজ, এরপর মরিয়মের ছেলে জুনায়েদ সফদার।

কেবল নওয়াজ পরিবারই নয়, পাকিস্তানে পরিবারতন্ত্রের ধারা বয়ে নিয়ে যাচ্ছে ভুট্টো পরিবার ও তাদের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান পিপল’স পার্টি (পিপিপি)। ২০০৭ সালে পার্টির নেত্রী এবং পাকিস্তানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর মৃত্যুর পর দলটি দিশা হারিয়ে ফেলে।

পিপিপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বেনজির ভুট্টোর বাবা জুলফিকার আলী ভুট্টো। একসময়ের দুর্দান্ত রাজনৈতিক শক্তি পিপিপি প্রায় চার দশক ধরে পাকিস্তানি রাজনীতিতে আধিপত্য করেছে।

কিন্তু বেনজির ভুট্টোর হত্যাকাণ্ডের পর তার ছেলে বিলাওয়াল দায়িত্ব নিলেও দলটির শক্তি কমতে থাকে। ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে পিপিপি ৭৬টি আসন হারায়। এবার দলটি মাত্র ৪৩টি আসন পেয়েছে। উৎসঃ যুগান্তর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়