রবিন আকরাম : ভারতের একটি টিভি শো অনুষ্ঠানে নারী আইনজীবী ও এক ইসলামী চিন্তাবিদের মাঝে আলোচনার এক পর্যায়ে হাতাহাতির পর মারামারির ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে বাংলাদেশের একটি অনলাইন পোর্টল ‘লাইভে নারীকে থাপ্পড়ের ভিডিও ভাইরাল, মাওলানা গ্রেফতার।’ এমন শিরোনাম দেখে বিস্মিত হয়েছেন লেখক ও ব্লগার পিনাকী ভট্টাচার্য।
তিনি তার ফেসবুকে লিখেছেন- যারা ভিডিওটা দেখেছেন তারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন মাওলানাকে থাপ্পড় প্রথমে নারী আইনজীবীই দিয়েছিল। এইটার শিরোনাম হওয়া উচিত ছিল মাওলানাকে থাপ্পড় দেয়ায় নারী আইনজীবী পালটা এলোপাথাড়ি থাপ্পড় খেলেন।
শিরোনাম দেখলে মনে হবে বিনা উস্কানিতে মাওলানা কথিত নারী আইনজীবীকে থাপ্পড় দিয়েছে। এইটা নিয়ে আর কিছুদিন মাতম চলবে ইসলামোফোবদের।
থাপ্পড় দেয়ায় কোন দোষ নাই, কিন্তু পালটা থাপ্পড় খেলে কেন কান্নাকাটি কর বাবা? তার মানে কী, মাওলানার কী করা উচিত ছিল? থাপ্পড় খেয়ে মাথা নিচু করে চলে আসা? তারপরে বলা মেরেছ কলসির কানা তাই বলে কি প্রেম দিব না?
প্রসঙ্গত, ভারতের জি হিন্দুস্তান টিভিতে সরাসরি প্রচারিত এক টিভি শো অনুষ্ঠানে আলোচনা করছিলেন এক নারী আইনজীবী ও এক ইসলামী চিন্তাবিদ। তাদের আলোচনার বিষয় ছিল ‘তিন তালাক’। আর এ নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
ডিএনএইন্ডিয়া জানায়, জি হিন্দুস্তান টিভিতে নিয়মিত প্রচারিত একটি সরাসরি অনুষ্ঠানে কথা বলছিলেন ইসলামী চিন্তাবিদ মুফতি এজাজ আরশাদ কাশমী ও আইনজীবী ফারাহ ফয়েজ।
অনুষ্ঠানে তিন তালাক নিয়ে কাজ করা আইনজীবী ফারাহ ফয়েজ বলেন, বিয়ে বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে তিন তালাক কোরআন গৃহীত কোন বিধান নয়। তার এই বক্তব্য নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে ফারাহ ফয়েজ মুফতি এজাজ আরশাদ কাশমীর গালে চড় মারেন ওই নারী। পরে মুফতি এজাজ আরশাদ ফারহ ফয়েজের গালেও কয়েকটি চড় মারেন।
এ ঘটনার পর জি মিডিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে মুফতি এজাজ আরশাদ কাশমীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জি হিন্দুস্তান তাদের টুইটার পেজে ভিডিওটি প্রকাশ করেছে।
https://www.facebook.com/amiamar13/videos/1756013954488189/