আসিফুজ্জামান পৃথিল: মিয়ানমারে রাষ্ট্রীয় নথি পাচারের অভিযোগে বিচারাধীন রয়টার্সের সাংবাদিক ওয়া লোন আদালতকে জানিয়েছেন, গ্রেফতারের পর দেশটির পুলিশ তাকে এবং তার সহকর্মীকে শুধু রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে করা সংবাদের ব্যপারেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলো। তারা আরো জানিয়েছেন যে গোপন রাষ্ট্রীয় নথী পাচারের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে সেই ব্যপারে তাদের কোন প্রশ্নই করা হয়নি।
ওয়া লোন আরো অভিযোগ করেন জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশ তাকে এবং তার সঙ্গী সোয় ও কে ঘুমাতে দিতো না। এবং তাদের মাথায় কালো কাপড় পড়িয়ে গোপন একটি কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়, এবং তাদের সেখানে ২ সপ্তাহ আটকে রাখা হয়। ঘন্টাব্যপি দেয়া জবানবন্দীতে লোন আরো জানান পুলিশ তাদের ফাঁদে ফেলে গ্রেফতার করেছে। লোন বলেন, ‘পুরো জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালে তারা গোপন নথির ব্যপারে কোন আগ্রহই দেখায়নি। তারা বারবার রাখাইন প্রদেশের মংডুতে আমাদের করা রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন করছিলো। আমি বহু ঘন্টা ঘুমাইনি, কিন্তু তারা জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যেতে থাকে। আমি বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলাম।’
গ্রেফতারের সময় এই দুই গণমাধ্যম কর্মী পশ্চিম মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ইন দিন গ্রামে ১০ রোহিঙ্গা মুসলিম পুরুষ ও কিশোরকে হত্যার ব্যপারে অনুসন্ধানী কাজ করছিলেন। গত বছরের আগস্টে রোহিঙ্গা গণহত্যা চলাকালে এই হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়। এসময় প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বাংলাদেশ প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। রয়টার্স
আপনার মতামত লিখুন :