নিজস্ব প্রতিবেদক : কুমিল্লা জেলার বুড়িচংয়ের চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনার দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। তদন্ত অব্যাহত থাকলেও প্রায় এক মাসেও ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে পারেনি থানা পুলিশ। জানা যায়, বুড়িচং উপজেলার কংশনগর গ্রামের হাজী মো. ফজলুর রহমানের দ্বিতল ভবনে নগদ ৫ লাখ টাকা, ১০ লাখ টাকা মূল্যের ডায়মন্ড সেট, ১২০ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার ও ডিজঅনার হওয়া চেক চুরি হয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। গত ৩০ মে থেকে ৫ এপ্রিলের মধ্যে এই ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের (মামলা নং-১৩, ০৭/০৬/২০১৮ইং) পর মো. আরিফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হলেও অদ্যাবধি চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার বা জড়িতদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
ফজলুর রহমান জানান, তার ৩ ছেলে দুবাইতে থাকেন। তিনি ও তার স্ত্রী দুবাইতে বেড়াতে যাওয়ার পর নীচ তলার পকেট গেট ভেঙ্গে উপর তলার রুমের দরজা ও আলমারি ভেঙ্গে উল্লেখিত টাকাসহ জিনিসপত্র চুরি হয়। বাড়ীতে এই দুর্ধর্ষ চুরির বিষয়টি স্থানীয় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। থানা পুলিশ ঘটনা তদন্ত শুরু করলেও চুরি হওয়া জিনিসপত্র উদ্ধার বা এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখাতে পারেনি। চেনা-জানা ব্যক্তি ছাড়া এবং চুরিতে দক্ষ ও পারদর্শী ব্যক্তি ছাড়া তার বাড়ীতে এমন দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটানো অসম্ভব বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনোজ কুমার দে জানান, চাঞ্চল্যকর এই চুরির ঘটনার তদন্ত চলছে। চুরি হওয়া জিনিসপত্র উদ্ধার ও জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। আশা করি যথা শিঘ্রই প্রকৃত রহস্য উন্মোচিত হবে বলে জানান তিনি।