শিরোনাম
◈ ওসমান হাদি বাংলাদেশের রাজনীতিতে যেভাবে জরুরি হয়ে উঠেছিলেন ◈ সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ ও মেয়রের বাড়িতে আগুন ◈ হাদির হত্যাকাণ্ড রাজনীতিতে ভয়াবহ মোড়ের ইঙ্গিত: আলজাজিরার বিশ্লেষণ ◈ পা‌কিস্তা‌নের কা‌ছে পরা‌জিত হ‌য়ে যুব এ‌শিয়া কা‌পের সেমিফাইনাল থে‌কে বাংলাদেশের বিদায় ◈ বাংলাদেশ ইস্যুতে সংলাপ বজায় রাখার সুপারিশ, হাসিনার রাজনৈতিক ভূমিকা নয়: ভারত ◈ শহীদ ওসমান হাদির জানাজাকে ঘিরে ৭ নির্দেশনা ডিএমপির ◈ গভীর রাতে নদী ও ইটভাটায় চলে প্রশিক্ষণ, চার বিভাগে সক্রিয় শুটার নেটওয়ার্ক ◈ হাদি হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ অব্যাহত, ঢাকায় বিজিবি মোতায়েন, বিদেশি নাগরিকদের বিশেষ সতর্কতা ◈ সুদানে ড্রোন হামলায় শহীদ ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর মরদেহ ঢাকায় পৌঁছাবে শনিবার ◈ শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যায় জাতিসংঘের উদ্বেগ, দ্রুত তদন্ত ও ন্যায়বিচারের আহ্বান

প্রকাশিত : ২৮ জুন, ২০১৮, ১১:০৮ দুপুর
আপডেট : ২৮ জুন, ২০১৮, ১১:০৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নেশার জগতে নারীদের অভিশপ্ত জীবন

ডেস্ক রিপোর্ট : স্কুল-কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী নারীদের মধ্যে মাদকাসক্তি বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। এদের মধ্যে ইয়াবা সেবনের হার সবচেয়ে বেশি। ফলে একদিকে তারা যেমন শারীরিক ও মানুষিকভাবে অসুস্থ হচ্ছেন অন্যদিকে সামাজিক অস্থিরতা বাড়ার পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে পারিবারিক সম্পর্ক। জীবন হয়ে যাচ্ছে অভিশপ্ত। অনেকে চিকিৎসা নেয়ার পরও ফের জড়িয়ে পড়ছেন মাদক সেবনে।

ছদ্মনাম সনিয়া। উচ্চবিত্ত পরিবারের এই তরুণী ১০ বছর আগে ‘ও’ লেভেলে পড়ার সময়ই ইয়াবা আসক্ত হয়ে পড়েন। সনিয়ার বিয়ে হয় আরেক মাদকাসক্তের সঙ্গে। একটি সন্তান জন্মের পর মাদকের কারণেই ভেঙে যায় তাদের সংসার।

সোনিয়া বলেন, একা একা থাকার পর বন্ধুদের কথায় এটা (ইয়াবা) খাওয়া শুরু করলাম। তারপর আর ছাড়তে পারিনি। নেশার কারণে আস্তে আস্তে বাবা-মাসহ সবার সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। একটা সময় মানুষ একা হয়ে যায়।

অভিশপ্ত জীবন ছেড়ে সুস্থ জীবনে ফিরতে মরিয়া সোনিয়া। তাই রাজধানীর শ্যামলীর আহছানিয়া মিশন মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।

মাদক বিরোধী সংস্থা ‘মানস’ বলছে, দেশে প্রায় ৭০ লাখ মাদকাসক্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৬ শতাংশই নারী। আর ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে শতকরা ১৫ জন মাদকাসক্ত। যাদের ৪৩ শতাংশই আবার ইয়াবা আসক্ত।

আহছানিয়া মিশন মাদক নিরাময় কেন্দ্রে কথা হয় আরেক নারীর সঙ্গে। মধ্যবিত্ত পরিবারের এ নারীর গল্পটাও মোটামুটি সনিয়ার মত। এই জগত থেকে মুক্তি পেতে তিনি এ নিয়ে দশ বার ভর্তি হয়েছেন নিরাময় কেন্দ্রে। কিন্তু এখনো মুক্তি মেলেনি তার।

এই নারী জানান, বিয়ের আগে তার স্বামীর সঙ্গে একসঙ্গেই মদ খেতেন কিন্তু বিয়ের পর তার স্বামী তাকে আর না খাওয়ালে তিনি লুকিয়ে লুকিয়ে খাওয়া শুরু করেন। পরে এ নিয়ে বাসায় সমস্যা শুরু হয়।

তিনি আরও জানান, অনেকবার চেষ্টা করেছি, অনেকবার নিরাময় কেন্দ্রে এসেছি কোনও কাজ হয়নি, ড্রাগস
চিকিৎসা নেয়ার পরও এমন অনেকেই আবার জড়িয়ে পড়ছেন মাদক সেবনে। এজন্য পরিবারের অসহযোগিতাকেই দুষলেন আহসানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি পুনর্বাসন কেন্দ্রে প্রোগাম অফিসার উম্মে জান্নাত।

তিনি বলেন, এখান থেকে বাসায় ফেরার পর পরিবারের অনেকেই তাদের সঙ্গে অস্বাভিক আচরণের কথা শোনা যায়। তাদের সঙ্গে কিভাবে আচারি করা হবে তা আমরা বলে দেই। কিন্তু এখান থেকে চিকিৎসা নেয়ার পর পরিবার রোগীর সমর্পকে কোনো ফলোআপ নিয়ে আসে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদকাসক্তদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে পারিবারের পাশাপাশি, পুরো সমাজকেই আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।-আরটিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়