সাজিয়া আক্তার : বড় কোনো পরিবর্তন ছাড়াই আগামিকাল বৃহস্পতিবার সংসদে পাস হতে যাচ্ছে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বাজেট। নীতি নির্ধারিত পর্যায়ে বিভিন্ন আলোচনায় এমনি আভাস মিলেছে।এসব পরিবর্তনে স্থানীয় শিল্প রক্ষায় সরকারের নীতি সহায়তায় জোর দেয়া হয়েছে। তবে ব্যবসায়ীদের জোড়ালো দাবির পরেও ব্যাংকের বাইরে অন্য খাত গুলোয় কর্পোরেট ট্যাক্সে বাড়তি কোনো সুবিধা পাচ্ছে না।
পোশাক খাতের উপর বাড়তি মুনাফা কর ও উৎস করও কমানোরও আভাস মিলেনি।
সংসদে পাস হওয়াও আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট থেকে কিছু পরিবর্তন আনার আভাস মিলেছে। কিছুটা বদল হতে পারে শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর কাঠামোয়। স্থানীয় শিল্প সুরক্ষায় একথা জানিয়েছেন সরকার। সেজন্য মোবাইল ও কম্পিউটারের সফটওয়্যার, হার্ডওয়ারের ৪৪টি অনুমোদন পণ্যের অনেকগুলো থেকে আমদানি কমানোর প্রস্তাব বাতিল হতে পারে।
তবে অপরিবর্তিত থাকতে পারে সবচেয়ে আলোচিত কিছু বিষয়। এর মধ্যে ব্যাংকের পাশাপাশি অন্য খাতেও করপোরেট কর কমানোর দাবি ব্যবসায়ীরা জোর দিয়েছেন। তবে আড়াই ভাগ কর্পোরেট ট্যাক্স কমানোর সুবিধা শুধু ব্যাংকিক খাতকে দিয়ে সুদের হারের শর্ত জুড়ে দেওয়া হতে পারে। যেসব ব্যাংক সুদের হার কমাবে না তাদের কর্পোরেট ট্যাক্স কমাবে না বলে জানিয়েছে এনবিআর।
পিআরআই নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, যে খাতটি পক্ষপাতিত্ব মূলক এবং যে খাতে খুব একটা ভাল পারফরমেন্স নেই তার পরও তাদেরকে কাজের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে একটি শর্ত জুড়ে দেওয়া উচিত। তারা যদি সুবিধা পেতে হয় তাদেরকে সুদের হার কমাতে হবে। যারা এই কাজ করবে না তাদেরকে কর কমানোর সুবিধা দেওয়া হবে না।
এনবিআর সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, ঘোষণা দেওয়ার আগ পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না কতটা শর্ত আছে, আর কতটা শর্ত নেই। কিন্তু মৌলিক, অর্থনৈতিক এইগুলো অনুযায়ী শর্ত আরোপ করে তা যদি আবার ঠিক মত মনিটরিং না করা যায় তাহলে উদ্দেশ্য সফল হবে না।
প্রস্তাবিত বাজেটে তৈরি পোশাক খাতে মুনাফা কর ও উৎসকর বাড়ানোয় নাখোশ ব্যবসায়ীরা। তবে তাদের দাবি মেনে কর কমানোর আভাস দেননি সরকার।
ব্যক্তি-শ্রেণির করমুক্ত আয় সীমা বাড়ানোর দাবিটি উপেক্ষিত হবার আভাস মিলেছে।
সূত্র : যমুনা টেলিভিশন
আপনার মতামত লিখুন :