মাদকদ্রব্য আমাদের দেশে আসা বন্ধ হচ্ছে না কেন? সীমান্ত এলাকার বিজিবি এবং নদী পথের কোষ্টকার্ড বাহিনী এ মাদকদ্রব্য আসতে সাহায্য করে থাকে। এদের মধ্যে সবাই জড়িত না থাকলেও কিছু কিছু বিজিবি সদস্য এবং কিছু কোষ্টগার্ড সদস্য জড়িত রয়েছে। তারা জড়িত না থাকলে কিভাবে আমাদের দেশে মাদকদ্রব্য আসে? এই বিজিবি সদস্যদের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য কমানো সম্ভব হবে। এর পর যে মাদক দ্রব্যগুলো আমাদের দেশে প্রবেশ করছে, তখন এ মাদকের সাথে জড়িত হচ্ছে আমাদের দেশের পুলিশ সদস্যরা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যারা পরিচালনা করে, সেখানকার কিছু মানুষেরা জড়িত থাকে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজন মাদক ব্যবসায়িদের কাছ থেকে মাসিক এবং সাপ্তাহিক টাকা নিয়ে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। মাদক ব্যবসায়িরা যখন বড় বড় চালান নিয়ে আসে, তখন আমাদের দেশের পুলিশ এ মাদকের সাথে জড়িত হয়ে যায়। মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল। তাদের মধ্যে কিছু ক্ষমতাসীন লোক এ ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে যায়। তারা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত।
তাদেরকে টাকা দিয়ে থাকে ব্যবসা করার জন্য। এবং এদের মাদক ব্যবসা করার জন্য সাহায্য করে থাকে। বর্তমানে মাদকদ্রব্য কমানোর জন্য সারা দেশে বন্দুকযুদ্ধে ৩৮ জন মারা গিয়েছে। মাদকদ্রব্য কমানোর জন্য ক্রসফায়ার করা আইনগতভাবে নিষিদ্ধ। এটাকে ক্রসফায়ার বলা যাবে না, এটাকে খুন বলা হয়। এই ক্রসফায়ারের নামে কোন ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই, তার কোন প্রমাণ দিতে পারবে কি? এখন যারা সরকারের ছত্রছায়ায় এ ব্যবসা করে থাকে, তারা কখন কি ক্রসফায়ারে পড়বে?
ক্রসফায়ারে কাদের কে দেওয়া হচ্ছে? যারা খুচরা বিক্রি করে তাদেরকে। যারা বড় বড় মাদকের চালান বিদেশ থেকে নিয়ে আসছে, তাদেরকে ক্রসফায়ার দিচ্ছে না । যে খুচরা ব্যবসায়িদেরকে ক্রসফায়ার দিচ্ছে, এদেরকে মেরে কোন মাদক কমবে বলে আমার মনে হয় না। তাৎক্ষনিকভাবে মানুষকে জানানো হচ্ছে যে, মাদক নিরাময় করার জন্য দেশে মাদকযুদ্ধ হচ্ছে । যারা এই মাদক নিরাময় করার জন্য কাজ করছে, তাদের আশেপাশে এই মাদক ব্যবসায়িরা রয়েছে। তাদেরকে না চেনার কোন কারণ নেই, তাদেরকে সবাই চিনে। তাদেরকে ক্রসফায়ারে না দিয়ে আইনের মাধ্যমে যদি সাজা দেওয়া যায়, তাহলে মাদকসেবন কিছু হলেও কমানো সম্ভব হবে।
পরিচিতি : সাবেক আইজিপি/ মতামত গ্রহণ : রাশিদুল ইসলাম মাহিন/ সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ