আমিন মুনশি: মাহে রমজানের রোজা অবশ্য পালনীয় ইবাদত অর্থাৎ ফরজ ইবাদত। অতএব প্রকৃত ওজর ছাড়া আমাদের রোজা পালন এড়িয়ে যাওয়া একেবারেই ঠিক হবে না। অধিকন্তু সুস্থ অবস্থায় রোজা পালনে রয়েছে অনেক উপকারিতা।
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের বহু উক্তি লক্ষ্য করা যায় এ সম্পর্কে। সাম্প্রতিককালে অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, উপবাসের ফলে অনেক রোগজীবাণু মারা যায়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের জনক হিপোক্রেটিস বলেছেন, অসুস্থ দেহ যতই খাবার পায় ততই রোগ বাড়তে থাকে। গ্রাহাম বার্থলো জেনিংসসহ বেশ কয়েকজন গবেষক এই বিষয়টির সত্যতা প্রমাণ করেছেন। ডা. জুয়েলস এমডি বলেছেন, যখন এক বেলা খাওয়া বন্ধ থাকে, তখনই দেহ সেই মুহূর্তটিকে রোগ মুক্তির কাজে নিয়োজিত করে। খাদ্যের পরিপাক ও আত্তীকরণে যে শক্তি ব্যয় হয়, খাওয়া বন্ধ করে আমরা সেই শক্তি অন্যদিকে নিয়োজিত করতে পারলে দেহের অপ্রয়োজনীয় বিষাক্ত অংশও বিদায় করতে পারবো।
রোজা সম্পর্কে ডা. স্যামুয়েল আলেকজান্ডার বলেছেন, রোজা হচ্ছে রকমারি মানসিক রোগগুলোর উত্তম ওষুধ, চমৎকার ও ফলপ্রসূ প্রতিষেধক, রোজা আত্মাকে যেমন নির্মল করে ঠিক তেমনি পবিত্রও রাখে। ডা. অ্যাডওয়ার্ড নিকসন বলেন, রোজার মধ্যে নিহিত রয়েছে অনেক উপকার। রমযান মাস চলে যাওয়ার পরও যদি সপ্তাহে একদিন রোজা পালন করা যায় তাহলে তা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী হয়। আর এই নিয়মের মাধ্যমে শরীরকে বেশ কতকগুলো রোগ থেকে রক্ষা করা যায়।
ডা. হেনরি অ্যাডওয়ার্ড বলেছেন, রোজা শান্তিদায়ক এবং ধৈর্য ও আস্থা উদ্দীপক। রোজা পালনে সহনশীলতা বেড়ে যায়। প্রচুর ধৈর্য ধরা এবং সহ্য করার ক্ষমতাও বাড়ে। রোজা পালনে স্বভাব চরিত্রে সৎ অভ্যাসের উদ্রেক ঘটে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের এরকম উক্তি থেকে আরও জানা যায়, শরীরে সারা বছর যে জৈব বিষ বা টক্সিন তৈরি হয় রমজানে রোজা পালন করলে তা দূরীভূত হয়ে যায়। রোজায় সর্দিজনিত বধিরতা, অস্থি ফোলা ও দাঁতের রোগ নিরাময় হয় এবং খাদ্যে অরুচি অনীহা দূর হয়। রোজা পালনে বাত এবং শরীরের বিভিন্ন জোড়ার সংক্রামক রোগও আরোগ্য হয়।