সাজিয়া আক্তার: বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় বিশাল এক ঐশর্য্য রয়েছে প্রাকৃতিক শৈবালে। খাদ্য উপযোগি বিভিন্ন যাতের শৈবালে পরিকল্পিত চাষের দারুন সম্ভাবনার কথা জানাছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যে গবেষণাও এগিয়েছে বেশ দূর। সংশ্লিষ্টরা বলছেন এদিকে দৃষ্টি দেওয়া হলে ব্লু ইকোনমিক এক নতুন দিগন্ত।
কূলকিনারাহীন বিস্তির্ণ এই জলরাশি শুধু গর্জন আর ঢেউয়ের একটি অফুরন্ত সম্পদের ভান্ডার। সাগর তীরের এই লোনা পানির খুলা অংশ পেরিয়ে গেলে পানির গভীরতায় রয়েছে বৈচিত্রময় এক সম্পদ শৈবাল। পৃথিবীর অনেক দেশেই এখন শৈবাল অনন্য অর্থকরি সবজি। বাংলাদেশের নৃতাতত্ত্বিক সমাজে উপাদিও সবজি হিসেবে শৈবাল খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে পরিকল্পিত চাষও।
নুনিয়ারছড়া শৈবাল চাষী মো. করিম বলেন, শৈবাল চাষ করে ৪ মাসে ২থেকে আড়াই লাখ টাকা মত আয় হয় আমার।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইস্টিটিউটের তত্বাবধানে চলছে শৈবাল নিয়ে নানা ধরণের গবেষণা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন গবেষণার শুরুটা ২০১৬ সালের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ অধ্যাপক ড. আব্দুল আজিজ বলেন, আমরা কিছু কিছু অঞ্চল বাছাই করতে পেরেছি, যেখানে আমরা শেবাল চাষ করব তা নিশ্চিত করেছি।
এখন দিনে দিনে উন্মোচন হচ্ছে সামদ্রিক শৈবালের নানা মুখি ব্যবহার ও উপকারিতা।
অধ্যাপক ড. আব্দুল আজিজ আরো বলেন, আমরা যে কেপসুল খাই সেই কেপসুল এর যে কভার ট্রাইমানিক্স কেপসুল বলে সেগুলো তৈরি করা হয়।
ব্লু ইকোনমিক নতুন একটি খাত হচ্ছে সামুদ্রিক শৈবাল চাষ। যার গবেষণায় ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিক উন্মোচন করতে পারে এই শৈবাল। শুধু দেশের মধ্যে নয় যদি এটি খাদ্যাভাস তৈরি করা যায় বৈদেশিক ভাবে এই শৈবাল হতে পারে এক নতুন দার এমনটি মনে করছেন গবেষক এবং স্থানীয়রা।
সূত্র: চ্যানেল আই
আপনার মতামত লিখুন :