সাজিয়া আক্তার: কুড়িগ্রামে ব্রি-২৮ জাতের ধানে ব্যপক হারে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে। ভাইরাস জনিত রোগ হওয়ায় এক জমি থেকে আরেক জমিতে দ্রুতই ছড়িয়ে পরছে এই রোগ।
ব্রি-২৮ জাতের ধান চিকন ও সুগন্ধী যুক্ত হওয়ায় এবং আগাম ঘরে তুলতে পারায় এই কারণে কৃষক চলতি বোরো মৌসুমে বেশি আবাদ করেছেন এই জাতের ধান। তবে ধান পাকার আগমুহূর্তে ব্লাস্ট রোগের প্রকোপ দেখে দেয় ব্রি-২৮ এ। ধানের শীষ পুরে চিটা হয়ে সাদা হয়ে গেছে।
স্থানীয় কৃষকরা বলেন, যখন এই রোগ ধানের পাতার মধ্যে ধরে তখন পাতাটা শুকিয়ে যায়।এই ধানটা এখন যা অবস্থা, চাল ধরার আগেই ধান কালো হয়ে গেল।
ব্লাস্ট রোগ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পরায়, খুব দ্রুতই এক জমি থেকে অন্য জমিতে ছড়িয়ে পরছে।কৃষকরা বলেন, ক্ষেতে স্প্রে করার পরও ক্ষেতে এক ফুটাও ধান নেই, শুধু চিটা ছাড়া আর কিছুই নাই। ক্ষেতের যা অবস্থা একটা দানাও ঘরে তুলা যাবে না। কৃষকেরা কীভাবে চলবে?
জেলার ৯ উপজেলার কীপরিমান এই নেক ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে তার সঠিক হিসেব তৈরি করতে পারিনি স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
কুড়িগ্রাম কৃষি কর্মকতা বলেন, এটা হতে পারে সুষম সারের অভাব, সুষম সার ব্যবহার হচ্ছে না , সঠিক মাত্রায় ঔষুধ ব্যবহার হচ্ছে না। যখন যেই পরিমান সার দেওয়ার প্রয়োজন তা দেওয়া হচ্ছে না। অনেক সময় দোকানদারো ভুল করছে, তারা তাদের মত করে কাজ করছে যার কারণে এমন হচ্ছে।
এই বছরে কুড়িগ্রামে ১ লাখ ১৭হাজার ৪৭ হেক্টর জমি বোরো ধান চাষ হয়েছে,এর মধ্যে ব্রি-২৮ ধান ৪৪ হাজার ৩২৪ হেক্টর জমিতে।আগাম ধান ঘরে তুলতে এই অঞ্চলের কৃষকরা চলতি বোরো মৌসুমে ব্রি-২৮ ধানের চাষ করেছে, যে আশা নিয়ে এই ধান তারা আবাদ করেছে সে আশা তাদের পুরন হয়নী আর ।
চ্যানেল আই থেকে মনিটরিং