এম এ হাকিম ভূঁইয়া, আড়াইহাজার: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাগান মালির কাজে কর্মরত হারুন সার্জনের ভূমিকায়। তিনি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নবনির্মিত ভবনের পাশে শাপলা নং ১(১৩) একতলা ভবনের একটি কক্ষে অবৈধভাবে জরুরী বিভাগ খোলে বসেছেন। সরকারি হাসপাতালের ভিতরে অবৈধভাবে আলাদা ভবনে আলাদা জরুরী বিভাগ খোলে র্দীঘদিন ধরে ছোট বড় বিভিন্ন অপরেশন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। টাকার বিনিময়ে এখানে চিকিৎসা দেয়া হলেও ব্যবহৃত হচ্ছে গজ ব্যান্ডেসসহ সরকারি বিভিন্ন্ মেডিসিন। নাকেডগায় এমন অনিয়ম দুর্নীতি দীর্ঘদিন ধরে চললেও এ ব্যাপারে কিছুই জানে বলে না দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার দুপুরে ১২ টায় দিয়ে দেখা গেছে ভবনের বাইর থেকে জরদা বন্ধ রয়েছে। কিন্তু ভিতরে উপজেলার দিঘলদী এলাকার আলাউদ্দিন খায়ের মেয়ে রাশিদার কোমরে ফোঁড়া অপারেশন (অস্ত্রোপচার) কাজ চলছিল। আলাউদ্দিন খা জানান, তার মেয়ের কোমরে একটি ফোঁড়া অপরেশন করার জন্য এক লোক তাকে এখানে নিয়ে আসেন। পরে তার অপরেশন করে প্রেসক্রিপশন দেওয়া হয়েছে। ভিতরে ঢুকতেই দেখা মিলল আরেক (যুবক) রোগীর। তাকেও পিঠে আঘাত জনিত একটি ব্যান্ডিস করা হয়েছে।
জানা গেছে, অপরেশন কাজে ব্যবহৃত কক্ষটি আসলে একটি রান্নার কক্ষ। সিট বেডের পাশেই দেখা মিলল চিকিৎসার নানা উপকরুন। ভিতরে এক নারী চুলায় রান্নার কাজ করছেন। তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তিনি এখানে ডাক্তার স্যারদের জন্য দুপুরের রান্না করছেন। এর বেশী কিছু তিনি জানে না।’
বাগান মালি হারুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলেননি।
জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক মোশারফ বলেন, বাগান মালির কাজে নিয়োজিত হারুনের ডিউটি ছিল বিকালে। বুধবার বেলা ১১টায় হারুন হাসপাতালের ভিতরে আলাদা একটি ভবনের কক্ষে জরুরী বিভাগ খোলে অপরেশন ও সেলাইয়ের কাজ করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কিছু বলতে রাজী হয়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাক্তার আশ্রাফুল আমীন বলেন, বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখে টিএইচও স্যার হাবিব ইসমাইল ভূঁইয়াকে অবহিত করব। এবিষয়ে কোনো ব্যাবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার হাবিব ইসমাইল ভূঁইয়া বলেন, ‘শাপলা ১(১৩) ভবনের একটি কক্ষে অপরেশন (অস্ত্রোপচার) কাজ ও রোগীর কাটাছেঁড়ার সেলাইয়ের ব্যাপারে আমার নলেজে নেই।’ তবে তিনি বলেন, আমি ঢাকায় রয়েছি। ফিরে বিষয়টি দেখে ব্যাবস্থা নিব।
জেলা সির্ভিল সার্জেন এহসানুল হকের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করে মিটিংয়ে আছেন বলে ফোন কেটে দেন। এতে তার কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।