বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় এমপিদের সুযোগ দেওয়া আইন ও সংবিধান পরিপন্থি। নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের প্রস্তাবের ভিত্তিতে এই সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলে নির্বাচন কমিশন জনগণের আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হবে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক দল কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনকে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে প্রস্তাবনা দিলাম। কিন্তু তারা ওইদিনই বলে দিলো স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা নেই। আমরা চাই জনগণের ভোটের প্রতি আস্থা আনতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা করুন।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। এছাড়া সংসদ ভেঙে দিয়ে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে নির্বাচন। আওয়ামী লীগ এসব চাইবে না। কিন্তু জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থেকে তাদের বাধ্য করতে হবে। পাতানো, ভোটারবিহীন নির্বাচন আর এদেশে হতে দেওয়া হবে না। সরকার ভোটারবিহীন নির্বাচন করতেই খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি করেছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সম্পর্কে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, হায়াৎ-মউত আল্লাহর হাতে। এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আমীর খসুর মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ক্ষমতা যখন মাথায় উঠে যায় তখন মানুষের কথাবার্তায় ভারসাম্য থাকে না। তখনই মানুষ উল্টাপাল্টা বলেন।
সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এই দুই নেতা আরো বলেন, সরকার আবার ক্ষমতায় যাওয়ার নীলনকশা করছে। কিন্তু দেশের জনগণ সরকারের এই নীলনকশা আর বাস্তবায়ন হতে দেবে না।
আপনার মতামত লিখুন :