গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরের কালীগঞ্জে দাফনের ৫১ দিন পর কবর থেকে এক ব্যবসায়ীর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে কালীগঞ্জ পৌর এলাকার সরোয়ার আহমেদ দোলনের (৪০) লাশ উত্তোলন করা হয়। দোলন রাজধানী ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় ইলেকট্রিক ঠিকাদারির ব্যবসা করতেন।
লাশ উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সোহাগ হোসেন।
নিহতের স্ত্রী মুন্নী আক্তারের দাবি, ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় তাঁর শ্বশুরের ৫তলা একটি ভবন ছিল। তিন ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে তা ভাগাভাগি হলেও যৌথ মালিকানায় একটি ফ্ল্যাট রয়ে যায়। এ ফ্ল্যাটের মালিকানা নিয়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারি দোলনদের ভাইবোনদের মধ্যে সমঝোতা বৈঠক হয়। বৈঠক চলাকালে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে দোলনকে মারধর করা হলে তিনি সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন এবং মারা যান। কিন্তু দোলনের ভাইবোন ও তাঁর আত্মীয়স্বজনদের দাবি দোলনকে মারধর করা হয়নি। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। পরে তড়িঘড়ি করে কোনো রকম ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ নিজ গ্রাম ঘোনাপাড়ায় না দাফন করে তাঁর নানাবাড়ি পশ্চিম খলাপাড়া এলাকায় দাফন করা হয়।
ঘটনার ১০ দিন পর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি স্বামীকে হত্যার অভিযোগ এনে মুন্নী আক্তার বাদী হয়ে দোলনের ভাইবোনদের আসামি করে খিলগাঁও থানায় একটি মামলা (নং ৩৯) দায়ের করেন।
ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক মো. শাহআলমের বরাত দিয়ে কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক আলাল উদ্দিন জানান, মামলার বাদীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবং তদন্তের স্বার্থে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করতে দোলনের মরদেহ উত্তোলনের জন্য পুলিশ আদালতের শরণাপন্ন হয়। এরপর পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কবর থেকে লাশ উত্তোলনের জন্য আদালত নির্দেশ দেন। ওই আদেশ পেয়ে গাজীপুরে কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহাগ হোসেনের উপস্থিতিতে বুধবার বিকেলে কবর থেকে দোলনের লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।