ইমরুল শাহেদ : তিউনিসিয়ার মনাস্টির শহরের একমাত্র ইহুদি পরিবার সাইমন স্লামারের। এখানে এক সময় ইহুদি সম্প্রদায়ের রমরমা পরিস্থিতি ছিল। কিন্তু তিনি অন্যান্য ইহুদিদের মতো মনাস্টির ত্যাগ না করে তিউনিসিয়ার ইসলামিপন্থী একটি পার্টিতে যোগ দেন। দলটির নাম এন্নাধা পার্টি। আগামী মে মাসে অনুষ্ঠিত হবে পৌরনির্বাচন। তাতে তিনি এন্নাধা পার্টি থেকে প্রার্থী হয়েছেন। মুসলিম অধ্যুষিত একটি দেশে ইহুদি প্রার্থী দেখে সকলের মধ্যে যেমন একটা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে তেমনি শুরু হয়েছে বিতর্কও।
সমালোচকরা বলছেন, ক্ষমতায় আসার জন্য এন্নাধা পার্টির এটা একটা হিসাব করা ব্যাপার। পশ্চিমা মিত্রদের, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিজেদের সুনাম তুলে ধরাই এই সিদ্ধান্তের আসল লক্ষ্য। অন্যরা বিষয়টাকে দেখছেন তিউনিসিয়ার দীর্ঘ ঐতিহ্যে একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা হিসেবে।
তিউনিসিয়ায় ৫৬ বছর বয়স্ক স্লামারের পেশা হলো সেলাই মেশিন বিক্রি ও মেরামত করা। তিনি বলেছেন, তিনি দেশের জন্য কাজ করতে চান। এই শহরটিতে তার জন্ম হয়েছে। শহরটি এখন যেমন অর্থনৈতিকভাবে তেমনি নানামখী সংকটে নিমজ্জিত। তিনি তার ওয়ার্কশপে বসেই বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, ‘যখন দেখলাম দেশ গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে এগুচ্ছে তখন আমি এন্নাধা বেছে নিলাম। সবাই এখন এই দলটির দিকেই তাকিয়ে আছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি ইসলাম ও জুডাইককে আলাদাভাবে দেখি না। আমরা সবাই এক পরিবার এবং সকলেই তিউনিসিয়ার নাগরিক। তিউনিসিয়াকে আগামী দিনের জন্য গড়ে তুলতে আমাদের সকলকেই হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাওয়া উচিত।’
ভ‚মধ্যসাগরের তীরবর্তী মনাস্টির শহরটি রাজধানী তিউনিস থেকে প্রায় ১০৫ মাইল দূরে। তিনি ফ্রান্সের স্ট্রসবার্গে পড়াশোনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘সব ইহুদি পরিবার এখান থেকে চলে গেলেও আমি যাইনি। কারণ আমার পূর্বপুরুষরা এখানেই ছিলেন।’
তিউনিসিয়ার পুরো দেশে প্রায় দেড় হাজার ইহুদি বাস করে। মনাস্টিরে থাকত প্রায় ৫২০টি পরিবার। আজকে মনাস্টিরে বাস করে শুধু স্লামার পরিবারই। তিনি জনগণের জন্য কাজ করতে চান। তার মতে নগর ও শহরই হলো সমাজের অগ্রগতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
উল্লেখ্য তিউনিসিয়ায় ২০১১ সালের পর এই প্রথম পৌরনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এপি
আপনার মতামত লিখুন :