জুয়াইরিয়া ফৌজিয়া: এসএসসি পরীক্ষার ৭ দিন আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে সব ধরণের কোচিং সেন্টার বন্ধের সরকারি নির্দেশনা থাকলেও রাজশাহীতে এই নিয়ম মানছে না অধিকাংশ কোচিং মালিক। তবে সরকারের নেয়া এমন সিদ্ধান্তের পরও প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকানো সম্ভব হবে কি না এই নিয়ে চিন্তিত পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। অবশ্য সংকট উত্তরণে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রশ্নপত্র প্রণয়নের সাথে জড়িতদের উপর নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন শিক্ষাবিদরা।
আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা। দীর্ঘদিনের সমস্যা প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে এবার পরীক্ষা শুরুর ৭ দিন আগে সারাদেশে সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধে কড়া নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেল ২-৪টা কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকলেও অধিকাংশ কোচিং সেন্টারের ভেতরে শিক্ষার্থীদের রয়েছে সরব উপস্থিতি। সেখানে প্রাইভেট পড়ানোর নামে চলছে কোচিং বাণিজ্য।
শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. হাসানাত আলী বলেন, এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে বেশিরভাগ শিক্ষা সংশ্লিষ্টরাই। কিন্তু তারা কি ধরা পড়েছে? তারা কি আইনের আওতায় এসেছে?
রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সচিব প্রফেসর ড. তরুণ কুমার সরকার বলেন, পরীক্ষা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার জন্য যত রকমের শৃঙ্খলা নেয়ার সুযোগ থাকবে তা মেনে চলবো। তবে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করলে কোচিং সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এবার ২’শ ৪৭টি কেন্দ্রে মোট ১ লাখ ৯৪ হাজার ৫’শ ৪৩ জন এসএসসি পরীক্ষার্থী আছে।
সূত্র : সময় টিভি
আপনার মতামত লিখুন :