শিরোনাম
◈ অর্থনীতিতে ইতিবাচক ইঙ্গিত: রেকর্ডসংখ্যক কোটিপতি ব্যাংক হিসাব ◈ কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানালো বাংলাদেশ ◈ দুবাইয়ে বিকৃত যৌ.নাচার ব্যবসার চক্রের মুখোশ উন্মোচন এবার বিবিসির অনুসন্ধানে! ◈ জনপ্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে বদলি ◈ ‘আমার নাম স্বস্তিকা, বুড়িমা নই’ ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা ◈ তিন জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আবার বাড়ল ◈ আর্থিক সুবিধা নেওয়ায় কর কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ লড়াই ক‌রে‌ছে হংকং, শেষ দি‌কে হাসারাঙ্গার দাপ‌টে জয় পে‌লো শ্রীলঙ্কা ◈ দুর্গাপূজায় মণ্ডপ পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে আমন্ত্রণ হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের

প্রকাশিত : ৩০ জানুয়ারী, ২০১৮, ১০:২৮ দুপুর
আপডেট : ৩০ জানুয়ারী, ২০১৮, ১০:২৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অনুমোদন ছাড়াই চলছে টাঙ্গাইলে এমপি’র ‘অবৈধ গরু-ছাগলের হাট’! 

ডেস্ক রিপোর্ট : সরকারি অনুমোদন ছাড়াই টাঙ্গাইল-৬ (দেলদুয়ার-নাগরপুর) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল বাতেন তার নিজ গ্রামে ‘অবৈধভাবে’ একটি গরু-ছাগলের হাট বসিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতি শুক্রবার নাগরপুর উপজেলার কোনড়া গ্রামে চলে এ হাট। আর এ হাটটি পরিচালনা করছেন এমপি আব্দুল বাতেনের পরিবারের লোকজন।
সরকারি কোন অনুমোদন না থাকলেও প্রতি শুক্রবার হাট থেকে নেয়া হচ্ছে খাজনা। আর এই ‘অবৈধ হাটের’ কারণে পাশের এলাকার লাউহাটির হাটের ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন বলছে যেকোন স্থানে হাট বসানোর ক্ষেত্রে সরকারির অনুমোধন লাগে। আর এমপি আব্দুল বাতেন বলছেন,‘হাট বসানোর ক্ষেত্রে সরকারি অনুমাদন লাগে না'।
এলাকাবাসী বলেন, এমপি আব্দুল বাতেন ২০১৭ সালের আগস্টে নাগরপুরের মোকনা ইউনিয়নের কোনড়া নিজ গ্রামে সাপ্তাহিক এই হাটটি চালু করেন। হাটটি বসানোর জন্য সরকারি কোন অনুমোদন নেই। তবুও তার আপন ভাই খন্দকার আব্দুল করিম সভাপতি এবং ভাতিজা হুমায়ুন কবিরকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি হাট পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির নেতৃত্বেই চলছে তার প্রতিষ্ঠিত এই ‘অবৈধ হাট’। প্রতি শুক্রবার এখানে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে খাজনা আদায় করেন এমপির লোকজন।
জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের পাকা একটি রাস্তার পাশে প্রায় দুই একর জমির ওপর বসেছে গরু ছাগলের হাট। দুই শতাধিক গরু ছাগল উঠেছে। প্রতি গরু বিক্রি হওয়ার পরই দুইশ’ টাকা করে খাজনা নেওয়া হচ্ছে। হাটের চার প্রান্তে চারটি টেবিল ফেলে হাট পরিচালনা কামিটির নিয়োজিত কর্মীরা ‘খাজনা’ নিয়ে রশিদ লিখে দিচ্ছেন।
   হাট পরিচালনা কমিটির সভাপতি এমপির ভাই খন্দকার আব্দুল করিম বলেন, ‘হাটটি স্থাপনের জন্য তারা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন। তবে এখনো অনুমোদন পাওয়া যায়নি। তারপরও জনস্বার্থে তারা এটা চালু করেছেন।’
পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘এলাকাবাসীর সুবিধার জন্যই এমপি এই হাট করে দিয়েছেন। প্রতি হাটে যে টাকা উঠে তা দিয়ে হাটের উন্নয়ন করা হচ্ছে। হাটটি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বলে জানান তিনি।’
এদিকে এই হাটের কারণে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শতবর্ষের পুরাতন দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটি হাটে ব্যবসা মন্দা দেখা দিয়েছে। প্রতি শনিবার সেখানে বৈধ হাট হয়। তার আগের দিন মাত্র এক কিলোমিটার দূরেই অবৈধ একটি হাট বসায় লাউহাটিতে ক্রেতার সংখ্যা কমে যাচ্ছে। লাউহাটি হাটের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, এই হাটের ব্যবসা নষ্ট করার জন্য এমপি’র লোকজন কম খাজনায় তাদের অবৈধ হাটে বেচাকেনার সুযোগ দিচ্ছেন। তাদের সরকারের কাছ থেকে ইজারা নিতে হয়নি। তাই তারা কম খাজনায় হাট চালাতে পারেন।
লাউহাটি হাটের ইজারাদার রেজাউল করিম বলেন, ‘তিনি গত বৈশাখ মাস থেকে আগামী চৈত্র মাস পর্যন্ত এক বছরের জন্য ৭৭ লাখ টাকায় হাটটি ইজারা নিয়েছেন। ভ্যাট, ট্যাক্স ও জামানতসহ সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছেন ৯৭ লাখ টাকা। মাত্র এক কিলোমিটার দূরেই সাংসদের লোকজন ক্ষমতার দাপটে একটি অবৈধ হাট চালাচ্ছেন।'
এ ব্যাপারে ৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনের সংসদ সদস্য খন্দকার আব্দুল বাতেন পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘হাট বসানোর জন্য সরকারি কোন অনুমোদন লাগে না। তিনি বলেন, ‘আপনার সম্পত্তির মধ্যে হাট বসাবেন এটি কি অনুমতি নিতে হয় নাকি? যখন এটা সরকারিকরণ করা হবে তখন সরকারি ব্যপার-সেপার রয়েছে। এখন তো অনুমোদনের কোন ব্যাপার না’
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি হাট বসায়নি। স্বর্তস্ফুস্তভাবে এলাকাবাসীয় হাট বসিয়েছে। এ হাট থেকে কোন ইজারা নেয়া হয় না বলে তিনি দাবি করেন। এ ব্যাপারে নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা শাহীন পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, উপজেলার কোনড়ায় হাট বসানোর ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের কোন অনুলিপি আমাদের কাছে নেই।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যে কেউ যে কোন স্থানে হাট বসাতে পারেন না। যেকোন স্থানে হাট বসানোর ক্ষেত্রে সরকারি অনুমোদন লাগে অনুমোদন ছাড়া সরকারি হাট চলতে পারে না।  poriborton
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়