জুয়াইরিয়া ফৌজিয়া: নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে যেন কাটছে না বিভ্রান্তি। আর বাজারের বাস্তবতার সাথে সরকারি তথ্যের ফারাক মোটা দাগের। হালনাগাদ নয় মূল্যস্ফীতি হিসেবে পণ্য তালিকাও। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভোক্তা মূল্যসূচক বের করার পদ্ধতিতে পরিবর্তন দরকার। আর তা না হলে খাদ্যপণ্যের সঠিক দাম নিয়ে ধোয়াশা কাটবে না। এদিকে পরিকল্পনা বিভাগ বলছেন, প্রচলিত পদ্ধতি বদলানোর দরকার নেই।
দেশে পণ্যের দাম নিয়ে যেন আলোচনার শেষ নেই। কিন্তু তা আসলে কত বাড়ে বা কমে, সেই তথ্য নেই কারও কাছে। টিসিবির ওয়েবসাইটে প্রতিদিন খাদ্য পণ্যের দাম প্রকাশ করা হলেও এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক আছে ক্রেতা মহলে।
পণ্যের দাম বৃদ্ধি ও কমানোর হার বা মূল্যস্ফীতি বের করার দায়িত্ব বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বিবিএস-এর। দুই বছর আগেও এই সংক্রান্ত মাসিক তথ্য প্রকাশ করতো পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আওয়াতাধীন বিভাগটি। কিন্তু হঠাৎ করেই নিয়ম বদলে পরিসংখ্যান ঘোষণা শুরু হয় ৩ মাসে একবার। নথি বলছে, ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে ৩ মাসে তুলনায় ২০১৭ একই সময়ে শহরে পণ্যে দাম কম ছিল। অথচ গত বছরের মাঝামাঝি থেকেই চাল ও সবজির চড়া দাম নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে ভোক্তারা। পরে ভোগান্তির তালিকায় যোগ হয় পেঁয়াজ। আর এর সাথে বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের দাম সমন্বয় করা হলে চাপ পড়ে জীবনযাত্রায়।
দেশের মোট ১৪০টি বাজার থেকে নিত্যপণ্যের দাম সংগ্রহ করে বিবিএস। খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত মিলে পণ্যের সংখ্যা প্রায় ৪’শ। কিন্তু আগের তুলনায় ভোক্তার রুচি বদলেছে।
অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, তারা হুড়ো করে স্যারকে রিপোর্ট দিতে হবে, এটার একটার প্রবণতা আছে আর এটা অস্বীকার করছি না। এটা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো।
বিশ্লেষকরা জানান, রাজনৈতিক প্রভাবের বাইরের রাখতে হবে সরকারী পরিসংখ্যানকে।
সূত্র : যমুনা টিভি