ওমর শাহ: পুলিশ নয়, জয়নাব হত্যাকারী ধর্ষককে ধরেছে তার পরিবার ও আত্মীয়রা। জয়নাবের বাবা বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। এর আগে গত মঙ্গলবার ইমরানকে আটকের খবর দেন পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি বলেন, ২৩ বছর বয়সী ওই হত্যাকারী ও ধর্ষক একজন সিরিয়াল কিলার। গত দুই বছরে ছয় থেকে সাত বছরের একাধিক মেয়েশিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ আছে ইমরানের বিরুদ্ধে। আমাদের সমন্বিত চেষ্টা সফল হয়েছে। হত্যাকারী গ্রেপ্তার হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আইজীবী আফতাব বাজওয়া মুখ্যমন্ত্রীর জে আই টি সদস্যদের জন্য এক কোটি রুপি পুরস্কার ঘোষণার সমালোচনা করে বলেন জয়নাবের খুনীকে পুলিশ গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়েছে। জয়নাবের খুনীকে তার পরিবার ও আত্মীয়রাই গ্রেফতার করেছে।
ছয় বছরের জয়নাবকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ফুঁসে ওঠে পাকিস্তান। ধর্ষণের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক পদক্ষেপও নিতে চলেছে দেশটি। সিনেটের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান রেহমান মালিক গত বুধবার ফৌজদারী অপরাধ আইন সংশোধন ২০১৮ শিরোনামের একটি বিল প্রস্তাব করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুকে অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে দোষীদের জনসম্মুখে মৃত্যুদÐ কার্যকর করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জয়নাবের বাবা দাবি করেছেন, তিনি এবং তার আত্মীয়রা মিলে সন্দেহভাজন সিরিয়াল কিলার ইমরান আলীকে ধরে পুলিশে দিয়েছেন। তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তারা ইমরানকে ধরতে পারেননি। পাঞ্জাব প্রদেশের কাসুরের রোডকটে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে ছিলেন আইনজীবী আফতাব আহমেদ বাজওয়া।
জয়নাবের বাবা তার দাবির সত্যতা প্রমাণে একটি ছবি দেখান। সেখানে সন্দেহভাজনকে একটি বিছানায় বিশ্রামের ঢংয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। তিনি বলেন, এই ছবিটি তার ভাইয়ের বাসায় তোলা হয়েছে। এরপরই ইমরানকে ধরে পুলিশে দেওয়া হয়।
গত ৪ জানুয়ারি পাঞ্জাবের কাসুর শহর থেকে ৬ বছরের শিশু জয়নাবকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ৯ জানুয়ারি শিশুটির মৃতদেহ মেলে শাহবাজ খান রোডের আবর্জনার স্তূপ থেকে। ময়নাতদন্তে দেখা গেছে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
সূত্র : ডন উর্দু
আপনার মতামত লিখুন :