নয়াদিল্লি ব্যুরো: দীর্ঘ বাধা-বিপত্তির পর বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) মুক্তি পেয়েছে সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর বহু বিতর্কিত ছবি ‘পদ্মাবত’। এর মধ্যেই ফের দীপিকা পাড়ুকোনের নাক কাটার হুমকি দিয়েছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরের একটি সংগঠন।
কানপুর ক্ষত্রিয় মহাসভার প্রেসিডেন্ট গজেন্দ্র সিংহ রাজাওয়াত বুধবার সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘আমরা কানপুরের সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করেছি। যিনি দীপিকার নাক কাটতে পারবেন, তাঁকে ওই টাকা পুরস্কার দেব।’’
এদিকে রাজস্থান, হরিয়ানা, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন এক কংগ্রেস সমর্থক। সুপ্রিম কোর্ট আগেই সব রাজ্যে ‘পদ্মাবত’ মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিজেপি শাসিত এই চার রাজ্য বাদে গোটা দেশে ছবিটি মুক্তি পায়। প্রশ্ন ওঠে, ‘পদ্মাবত’ মুক্তির আগে কেন হিংসাত্মক আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করা গেল না? সোমবার সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলার শুনানি।
তবে পশ্চিমবঙ্গে ‘পদ্মাবত’ নিয়ে বুধবারই গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ছবি মুক্তির পর আইন শৃঙ্খলার দায়িত্ব নেবে রাজ্য।
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের রাজ্যে ছবিটি নিয়ে কোনও বাধা নেই। বজরং দল এটা (গোলমাল) করছে। যারা হাঙ্গামা করছে, বিজেপির উচিত তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখা।’’ তবে পুলিশ আত্মবিশ্বাসী, বাংলায় ছবিটির অবাধ প্রদর্শনে অসুবিধা হবে না।
পদ্মাবত ছবিটি মুক্তির আগেই দেশের নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছিল সহিংস বিক্ষোভ। রাজপুত করণি সেনা হুমকি দিয়েছিল, ‘পদ্মাবত’-এর মুক্তি তারা যে কোনও মূল্যে রুখবে। ছবিতে ইতিহাস বিকৃত হয়েছে, এই অভিযোগে শপিং মলে ভাঙচুর চালিয়েছে কয়েকটি সংগঠন। পোড়ানো হয়েছে গাড়ি। স্কুল শিক্ষার্থী ভর্তি বাসেও ঢিল ছোঁড়া হয়েছে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি দেখে মাল্টিপ্লেক্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, রাজস্থান, গুজরাট, মধ্য প্রদেশ ও গোয়ায় ছবিটি প্রদর্শন করবে না তারা।