কামরুল আহসান : হালিমার বয়স মাত্র ১২, এখনই তার বাবা তাকে বিয়ে দেয়ার কথা ভাবছে। যদিও সে এ বিয়েতে রাজি নয়। সে চায় লেখাপড়া শেষ করতে। কিন্তু, তার বাবাও অপরাগ। কারণ ইয়েমেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি তাদের ঠেলে দিয়েছে চরম দারিদ্রতা মধ্যে।
২০১৫ সাল থেকে ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ চলছে। সৌদি আরব হুতি দমনের নামে পুরো ইয়েমেনকেই ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের হিসাব মতে এ যুদ্ধে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৫ হাজার ৫০০ মানুষ। আর ২ মিলিয়ন শিশু ভুগছে তীব্র পুষ্টিহীনতায়, ১ মিলিয়ন মানুষ কলেরায় আক্রান্ত। তিন বছরে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে ২০০ গুণ। ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষিব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। ১১. ৩ মিলিয়ন মানুষের মানবিক সাহায্য প্রয়োজন। ৮. ৪ মিলিয়ন মানুষ দুর্ভিক্ষ থেকে মাত্র এক পা দূরে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইয়েমেনে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় দুর্ভিক্ষ হচ্ছে। কিন্তু, সীমান্তে যুদ্ধ চলার কারণে সেখানে বাইরের সাহায্যও পৌঁছুতে পারছে না।
এর মধ্যে গোলাবর্ষণে ধ্বংস হয়ে গেছে ১ হাজার ৬০০ স্কুল। ২ মিলিয়ন শিশু বিদ্যালয়ে যেতে পারে না। ৪৪ শতাংশ মেয়েদের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে ৮ থেকে ১৫ বছরের মধ্যেই। অল্প বয়সে মা হওয়ার কারণে তারা পড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।
হালিমার বড় বোন কাফার বিয়ে হয়েছে ১৩ বছর বয়সে, তার চেয়ে ১৫ বছরের বড় এক লোকের সঙ্গে। ১৭ বছর বয়সেই সে চার সন্তানের জননী হয়েছে। সিএনএনকে সে জানিয়েছে, সে জানে মা হওয়ার কষ্ট। প্রতিবার মা হওয়ার সময়ই সে মৃত্যুর মুখোমুখি পড়েছে। ছোটবোনকে সে এতো দ্রুত বিয়ে দিতে চায় না। মেয়েকে এতো দ্রুত বিয়ে দিতে রাজি নন হালিমার বাবা আবদুল্লাহ। কিন্তু, তিনি সিএনএনকে জানালেন, আমি কী করবো? ছেলেমেয়েদের আমি ঠিক মতো খাবার দিতে পারি না। প্রতিবার গোলাবর্ষণে আমার বাড়ি কেঁপে ওঠে, এমন অবস্থায় আমি কী করতে পারি! সিএনএন