সজিব খান: দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে স্বপ্নের পদ্মাসেতু প্রকল্প। আর সেখানেই গড়ে ওঠার জোর সম্ভবনা দেশের সবচেয়ে বড় ও সর্বাধুনিক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর’। এটা হলে ওই অঞ্চলে লাগবে আধুনিকতার ছোঁয়া। পূরণ হবে পদ্মাপাড়ের মানুষের স্বপ্ন ।
বিমানবন্দরটি গড়ে উঠার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি রয়েছে পাদ্মার পাড়ে চর জানাজাত (শিবচর, মাদারীপুর)এ । আর এপারে যে তিনটি স্থান সম্ভাব্য বলে ধরা হয়েছিলো সেগুলো হচ্ছে চর বিলাসপুর (দোহার, ঢাকা), কেয়াইন (সিরাজদিখান, মুন্সীগঞ্জ) ও লতব্দি (সিরাজদিখান, মুন্সীগঞ্জ)।
পদ্মার পাড়ে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনার বিষয়টি নিশ্চিত করে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এটি শুধু দেশের সেরা বিমানবন্দরই হবে না, এটি হবে এশিয়ার অন্যতম সেরা বিমানবন্দর। তিনি বলেন, পদ্মার পাড়ে বিমানবন্দর নির্মাণের পরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ওপর চাপ কমবে। বিমানবন্দর নির্মাণ ঘিরে আমাদের বিশাল ও সুদূরপ্রসারি পরিকল্পনা রয়েছে।
এদিকে বিমানবন্দরট তৈরির জন্য স্থান নির্ধারণেরর সমীক্ষা চালানো হয় জুলাই ২০১৬ থেকে জুন ২০১৭ পর্যন্ত।
রিপোর্ট প্রকাশ প্রসঙ্গে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিমান ও সিএ) আবুল হাসনাত মোঃ জিয়াউল হক বলেন, পদ্মার পাড়ে মাদারীপুর অথবা শরিয়তপুরেই দেশের সেরা বিমানবন্দরটি হবে। অন্যান্য বিষয় চূড়ান্ত করতে এখনও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের (ফিজিবিলিটি স্টাডিজ)কাজ এখনো চলছে।বিমানবন্দরটি ঘিরে থাকবে সংযোগ সড়ক আর অত্যাধুনিক নগর-জনপদ। ২০১৮ মাসের জুন মাসে রিপোর্ট পেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ।’
জুনের পরেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ ডিপিপি(ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল) তৈরি করবে মন্ত্রণালয়। ব্যয়ের দিক থেকে এটা হবে দ্বিতীয় বৃহত্তম মেগা প্রকল্প।
এর আগে, মুন্সীগঞ্জের আড়িয়াল বিলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। কিন্তু স্থানীয় এলাকাবাসীর তীব্র আপত্তি ও ক্রমাগত বিক্ষোভের মুখে পরে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সরকার।
সূত্র: বাংলা নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :