শিরোনাম
◈ পারস্পরিক শুল্ক সংকট: চূড়ান্ত দর-কষাকষিতে বাংলাদেশ ◈ আরব আমিরাতের আবুধাবিতে প্রবাসী বাংলাদেশির ভাগ্যবদল: লটারিতে জিতলেন ৮০ কোটি টাকা ◈ ২৪ ঘণ্টায় গাজায় নিহত ১১৮, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পর্যালোচনায় হামাস ◈ ‘মব এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলে কঠোর পদক্ষেপ নেবে সেনাবাহিনী’ ◈ হোটেলে নারীকে মারধর করা বহিষ্কৃত যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তারের চেষ্টায় পুলিশ ◈ বনানীর জাকারিয়া হোটেলে ঢুকে নারীদের ওপর যুবদল নেতার হামলা, ভিডিও ◈ দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ জামায়াতের নিবন্ধন পুনর্বহালের গেজেট প্রকাশ ◈ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ দিবস পালনের নির্দেশ ◈ তিন দিনের ছুটিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, পাবেন না যারা ◈ উচ্চ ও নিম্ন আদালতকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করতে হবে: সালাহউদ্দিন

প্রকাশিত : ২০ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৭:৫৯ সকাল
আপডেট : ২০ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৭:৫৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ছাদে উচ্চ স্বরে গান, প্রতিবাদ করায় প্রাণ গেল বৃদ্ধের

ডেস্ক রিপোর্ট : বাসার ছাদে উচ্চ স্বরে গান বাজানোর প্রতিবাদ করায় প্রাণ দিতে হলো এক বৃদ্ধকে। আজ শুক্রবার রাজধানীর আর কে মিশন রোডের একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে আটক করেছে।

নিহত মো. নাজমুল হক (৬৫) একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। তিনি পরিবার নিয়ে আর কে মিশন রোডের ৪৪ নম্বর বাড়ির নবমতলায় থাকতেন। ওই বাসার ছাদের ‘কমিউনিটি হলে’ বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে একটি গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে উচ্চ স্বরে গান বাজানো হচ্ছিল।

নাজমুল হকের ছেলে বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা জে এম নাসিমুল হক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বাবা নাজমুল হক হৃদরোগে আক্রান্ত এবং তাঁর একবার বাইপাস সার্জারিও হয়েছিল। রাতে বাসার ছাদে ফ্ল্যাট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেনের ভাতিজা হৃদয়ের গায়েহলুদের অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠানে এত জোরে গান বাজানো হচ্ছিল যে তাঁদের ফ্ল্যাটের জানালা ও মেঝে কাঁপছিল । তাঁর অসুস্থ বাবা ঘুমাতে পারছিলেন না। তখন তিনি নিচে গিয়ে কেয়ারটেকারকে বিষয়টি বললে আলতাফ হোসেন এসে রূঢ় আচরণ করেন। তবে কিছুক্ষণ পরে গান বন্ধ হয়ে যায়।

নাসিমুল বলেন, এর জের ধরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আলতাফ হোসেন, তাঁর স্ত্রী, ভাতিজা হৃদয় এবং আরও সাত-আটজন নিচে জড়ো হন। তাঁরা তখন কেয়ারটেকারকে দিয়ে তাঁকে নিচে ডেকে আনেন। তাঁর সঙ্গে তাঁর বাবা, বোন ও স্ত্রীও নিচে নামেন। নামার সঙ্গে সঙ্গেই আলতাফ হোসেন, হৃদয়সহ অন্যরা তাঁর ওপর হামলা করেন। তাঁর বাবা তখন থামাতে গেলে সবাই মিলে তাঁকেও মারতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁর বাবা মাটিতে পড়ে যান। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়ারী অঞ্চলের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. সোহেল রানা বলেন, বাসার সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ এবং মৃত নাজমুল হকের ছেলে ও মেয়ের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে। গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে উচ্চ স্বরে গান বাজানোকে কেন্দ্র করেই তাঁরা প্রথমে নাজমুল হকের ছেলে নাসিমুল হকের ওপর চড়াও হন। পরে নাজমুল হক ঠেকাতে গেলে তাঁর ওপরও চড়াও হন। আট থেকে দশজন মারামারিতে অংশ নেয়।

সোহেল রানা বলেন, ‘আমাদের ধারণা, ইনটেনশনালি তারা প্রস্তুত হয়েই ছিল। শারীরিক অ্যাসলটের পরেই হয়তো বৃদ্ধ মানুষ পড়ে গেছেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’ প্রথম আলো

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়