সুশান্ত সাহা : রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়ার রুবি ভিলায় জঙ্গি আস্তনায় র্যাবের অভিযনের পর আতঙ্কে ভাড়াটিয়ারা বাসা ছেড়ে দিচ্ছে। ইতিমধ্যে ওই বাড়ির ভাড়াটিয়ারা অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নিছেন আত্মীয়দের বাসায়। আবার অনেক কলেজ শিক্ষার্থী কলেজ বন্ধ দিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরছেন।
এছাড়াও ওই বাড়ির ৩ তলার ভাড়াটিয়া এম এ মতিন বাসা ছেড়ে দেওয়ার কথা জানান। চলতি মাসেই তারা অন্য কোথাও বাসা ভাড়া নেবেন। ৬ তলার মেসের সদস্যরাও বাসা ছাড়ার কথা জানিয়েছে। মেসের সদস্য কলেজ ছাত্র পারভেজ এর বাবা কামাল হোসেন জানান, তার ছেলেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় নিয়ে এসেছেন। সে এখন এক আত্মীয়ের বাসায় থাকছে। এছাড়াও পারভেজ ফ্লাটের তত্বাবধায়ককে বাসা ছাড়ার কথা জানান। অন্য ফ্লাটের ভাড়াটিয়ারাও চলে যাওয়ার কথা জানিয়েছে।
ওই এলাকায় থেকে দুইবার জঙ্গি পাওয়ায় অন্য বাড়ির ভাড়াটিয়াদের অধিকাংশ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। এদের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে ব্যাচেলর বা মেস সদস্যরা। একাধিক ভাড়াটিয়া ও মেস সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে ভয় ও আতঙ্কের কথা জানা গেছে।
উল্লেখ্য, রুবি ভিলায় এর আগেও অভিযান চালায় র্যাব। ২০১৬ সালের ১৪ আগস্ট এবং ২০১৩ সালে দুই দফায় অভিযানে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। এই বাড়িটির মালিক বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট পার্চার সাব্বির হোসেন। ছয়তলা ওই বাড়ির বিভিন্ন ফ্ল্যাটে অন্তত ৬০ জন বসবাস করেন। তার মধ্যে তিনটি ফ্ল্যাট মেস হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়। মেসের মোট বাসিন্দা ছিল ২১ জন। মেসের দায়িত্বে ছিলেন রুবেল নামে এক ব্যক্তি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অল্প দূরে এমপি হোস্টেলের পেছনে রুবি ভিলা নামের ওই ছয়তলা বাড়ির পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় মেস ভাড়া দেওয়া নিয়ে বহুদিন ধরেই অনেকে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। তবে বাড়ির মালিক এতে কর্ণপাত করেননি।