মাহাদী আহমেদ : ২০১৪ সালে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হওয়া মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী বিমান এমএইচ৩৭০ এর সন্ধানে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘ওশেন ইনফিনিটি’র সাথে নতুন একটি চুক্তি সম্পাদন করেছে মালয়েশিয়া সরকার।
চুক্তিটি হচ্ছে, যদি উদ্ধার কাজে নিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটি নিখোঁজ বিমানটির খোঁজ পেতে সমর্থ হয়, তবেই তাদের পুরস্কৃত করা হবে, অন্যথায় নয়।
মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের নিখোঁজ হওয়া বোয়িং ৭৭৭ সিরিজের এমএইচ৩৭০ বিমানটি বর্তমান যুগে বিমান নিখোঁজ হওয়ার সবচেয়ে বড় রহস্যজনক ঘটনাগুলোর একটি। ২০১৪ সালের ৮ই মার্চে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করা মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের এমএইচ৩৭০ বিমানটি ২৩৯ জন যাত্রী, পাইলট ও ক্রু নিয়ে নিখোঁজ হয়।
বিমানটি মালয়েশিয়ার আকশসীমা অতিক্রম করার কিছুক্ষণ পরই রাডার থেকে হারিয়ে যায়। নিখোঁজের ঘটনার পরপরই বিমানটি উদ্ধারে দক্ষিণ চীন সাগরে উদ্ধারা ভিযান শুরু করে মালয়েশিয়াসহ বেশ কিছু দেশ। রাডার থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায় বিমানটি আবারও মালয়েশিয়ার আকাশ সীমায় প্রবেশ করেছিলো।
তবে বিমানটির ট্র্যাকিং ডিভাইস বন্ধ থাকায় এটির সঠিক অবস্থান নির্ণয় করা যায়নি। উপগ্রহ থেকে পাওয়া একটি তথ্য থেকে জানা যায়, বিমানটি দক্ষিন ভারত মহাসাগরের ওপর দিয়ে ঘন্টা খানেক সময় ধরে উড়েছিলো।
মালয়শিয়া কর্তৃপক্ষ জানায়, বিমানটি ভারত মহাসাগরেরই কোথাও বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে উদ্ধারকারী জাহাজ এবং বিমান সমূহ্ ভারত মহাসাগরের কোথাও এর কোনও ধরনের চিহ্ন বা ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেতে ব্যার্থ হয়।
এভাবে টানা ২ বছর ধরে প্রায় ৪২ হাজার বর্গ মাইল তন্ন তন্ন করে খোঁজার পরও বিমানটির কোনও পরিপূর্ণ সন্ধান পাওয়া যায়নি।
তবে ২০১৫ সালের জুলাইয়ে প্রথম বারের মত রিইউনিয়ন দ্বীপের সমুদ্রতটে এমএইচ৩৭০ বিমানের ভাঙ্গা একটি অংশ উদ্ধার করা হয়।
এরপর, ২০১৬ সালের মার্চে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকে বিমানটির আরও ২০টি ভগ্নাংশ পাওয়া যায়। একই বছর অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান তাদের নতুন একটি প্রতিবেদনে জানায় বিধ্বস্তের আগ দিয়ে বিমানটি পাইলটের নিয়ন্ত্রনের পুরোপুরি বাইরে চলে গিয়েছিলো। তবে এটা ঠিক কোথায় বিধ্বস্ত হয়েছিলো সেটা তারা জানাতে পারেনি। অবশেষে গত বছরের শেষদিকে এ উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। সিএনএন
আপনার মতামত লিখুন :