শিরোনাম
◈ সাংবাদিককে কনুই মারলেন বিএনপি নেতা সালাম, ভিডিও ভাইরাল ◈ বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা ইস্যুতে যে পদক্ষেপ নিল ভারতীয় দূতাবাস ◈ গণভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে সোমবার! ◈ দুর্দান্ত ব‌্যা‌টিং‌য়ে অঙ্কনের শতক, ঘুরে দাঁড়ালো ঢাকা বিভাগ  ◈ ৯১ সালে জামায়াত সমর্থন না দিলে বিএনপি এ পর্যায়ে আসতো না: তাহের ◈ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ নিয়ে বিএনপি কী কিছুটা বেকায়দায় পড়েছে ◈ সংসদ নির্বাচনের পর ফেব্রুয়ারিতেই একুশে বইমেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত ◈ মনোনয়ন নয়, দল ও দেশ বড়—মনোনয়নবঞ্চিতদের প্রতি তারেক রহমানের আহ্বান ◈ দোষী বা নির্দোষের বাইরে ইনুর বক্তব্য আমলে নেয়ার সুযোগ নেই: চিফ প্রসিকিউটর ◈ ট্রাম্পের নীতিতে পরিবর্তন: মানবাধিকার নয়, এখন গুরুত্ব আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায়

প্রকাশিত : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৩:৩৬ রাত
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৩:৩৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আজ সাদ্দাম হোসেনের মৃত্যু বার্ষিকী

মুফতি আবদুল্লাহ তামিম : ইরাকের ক্ষমাতাদর রাষ্ট্রপতি সাদ্দাম হোসেন জুলাই ১৬, ১৯৭৯ থেকে এপ্রিল ৯, ২০০৩ নাগাদ ইরাকের রাষ্ট্রপতি ছিলেন।দীর্ঘ ২৫ বছরেরও বেশি কঠোর হাতে ইরাক দেশটির ওপর শাসন কর্তৃত্ব চালিয়েছিলেন সাদ্দাম হোসেন আরব জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ধর্ম নিরপেক্ষ ও আধুনিক ইরাক গড়ে তুলতে প্রয়াস নেন। সাদ্দাম এক দলীয় শাসন কায়েম করেন। এসময়ই সাদ্দাম ইরানের সাথে ৯ বছরের যুদ্ধে জড়িয়ে পরেন (১৯৮০-১৯৮৮)। ইরাক-ইরান যুদ্ধের পরে ১৯৯১-এ সাদ্দাম উপসাগরীয় যুদ্ধে জড়িয়ে পরেন। সাদ্দাম তার মতে ইরাকের স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধের সকল পক্ষকে নির্মুল করার উদ্যোগ নেন। এই বিরুদ্ধ পক্ষে ছিল উপজাতীয় ও ধর্মীয় গোত্র গুলো যারা স্বাধীনতা দাবি করছিল। ইরাকি শিয়া মুসলমান, কুর্দি, ইরাকি তুর্কি জনগন। ২০০৩ সালে যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বে কতিপয় আন্তর্জাতিক রাষ্ট্র ইরাক আক্রমণ করে। তারা এই যুক্তি দেখিয়ে আক্রমণ করে যে, সাদ্দাম ব্যাপক ধ্বংসাত্বক জীবানু অস্ত্র তৈরি করছেন (যদিও যুদ্ধ পরবর্তি সময়ে এমন কোন অস্ত্রের হদিস পাওয়া যায় নাই)। আশির দশকে তাঁর স্বৈরশাসনকালে দেশের শিয়া সম্প্রদায়ের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগেই মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হন ৬৯ বছর বয়স্ক সাদ্দাম? বিচারকাজ নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিরূপ সমালোচনাও মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা ঠেকানো সম্ভব হয় নি?

১৩ ডিসেম্বর ২০০৩ সালে সাদ্দাম হোসেন আমেরিকান সেনাদের কাছে ধরা পড়েন। পরবর্তিতে আমেরিকা ইরাকি সরকারের হাতে সাদ্দাম হোসেনের বিচার করে। সাদ্দামের বিরুদ্ধে ছিল মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। জীবনের শেষ দিনগুলোতে তাকে পাহারা দিয়েছিলেন ১২ জন মার্কিন সৈন্য। ২০০৬ সালের ৩০শে ডিসেম্বর তিনটে নাগাদ ঘুম থেকে ডেকে তোলা হয়েছিল। ইরাকি সময় সকাল ৬.০৬ মিনিটে ইরাকে সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসি কার্যকর হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়