প্রিয়াংকা পান্ডে: চলতি মাসের ১৫ তারিখ নিখোঁজ হয় আর্জেন্টিনার একটি সামরিক সাবমেরিন। সেই থেকেই সাবমেরিনটির খোঁজে মার্কিন, বিট্রিশ, চিলি, ব্রাজিলের শত শত জাহাজ-বিমান চষে বেড়াচ্ছে আন্টালান্টিকের এদিক-ওদিক। স্যাটেলাইট থেকেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। রোববার ৭বার স্যাটেলাইট কল যাওয়ার খবরে আশার আলো দেখা দিলেও সেই কলগুলো আদৌ সাবমেরিনে পৌছেছিলো কিনা তা সন্দেহ প্রকাশ করেছে মার্কিন স্যাটেলাইট কোম্পানি ইরিডিয়াম।
সম্প্রতি ‘এআরএ সান জুয়ান’ সাবমেরিনটি নিয়ে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী। তারা জানায়, নিখোঁজ হওয়ার আগে সাবমেরিনটি একটি বার্তা পাঠিয়েছিলো। সেই বার্তায় সাবমেরিনটিতে ‘ইলেক্ট্রিকাল ফল্ট’ বা বৈদ্যুতিক সমস্যা হয়েছে বলে তারা জানিয়েছিলো। খারাপ আবহাওয়ার জন্য বার্তা গ্রহনে বিলম্ব হয়েছে বলে ধারণা করছে আর্জেন্টাইন মিলিটারি।
নৌ কমান্ডার গ্রাব্রিয়াল গালিয়াজি জানান, বুধবার একটি রিপোর্টে সাবমেরিনটির বৈদ্যুতিক সমস্যার কথা জানা যায় এবং সেখানে সাবমেরিনটিকে নৌঘাটি ‘মাল দেল প্লাটা’তে ফিরে যাওয়ার জন্যেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো।
৪৪ জন ক্রু নিয়ে আর্জেন্টিনার উপক‚ল থেকে ৪৩২ কিলোমিটার দুর থেকে নিখোঁজ হয় সাবমেরিনটি। শুক্রবার অর্থাৎ নিখোঁজ হওয়ার ৪৮ঘন্টা পর সাবমেরিনটি নিয়ে পুরো দেশে তোলপাড় শুরু হয়। জার্মান প্রযুক্তিতে তৈরি ডিজেল-ইলেট্রিক সাবমেরিনটিতে বৈদ্যুতিক সমস্যা হওয়ার জন্যই যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এবং গত দুদিন ধরে যে স্যাটেলাইট কল নিয়ে আশা করা হচ্ছিলো সেটিও ওই সাবমেরিনের সঙ্গে সংযুক্ত নয় বলে জানিয়েছে নেভি মুখপাত্র।
কি ধরণের বৈদ্যুতিক সমস্যা হয়েছে তা জানা না গেলেও বিদ্যূত বিছিন্ন হওয়ার বিষয়টি ধারণা করা যাচ্ছে। সাধারণত এধরণের সমস্যা হলে সাবমেরিনকে পানির উপর ভাসিয়ে রাখা হয়। অনুসন্ধান কার্য আরো জোরদার করছে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী।
আপাতত আশার কথা হলো সাবমেরিনটিতে ২৫ দিনের খাবার ও পানি সংরক্ষিত আছে। কোন দূর্ঘটনা না ঘটলে ৪৪জন ক্রু সহ সাবমেরিনটি খুঁজে পাওয়ার আশা রয়েছে।আরটি