শিরোনাম
◈ স্কুলের টয়লেটে আটকা শিশু, ৬ ঘণ্টা পর বের হতে সক্ষম  ◈ পাসপোর্ট অফিসে ভোগান্তি কিছুটা কমেছে, জনবল বাড়ানোর তাগিদ  ◈ কিরগিজস্তানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকার পরামর্শ দূতাবাসের ◈ কিরগিজস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: সাহায্য চাইলেন বাংলাদেশিরা  ◈ সংসদ ভবন এলাকায় দুই প‌ক্ষে‌র সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত ◈ আবারও বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১১৮৪৬০ টাকা ◈ ভেবেছিলাম দেশের সমস্যা ক্ষণস্থায়ী, এখন আরও বেড়েছে: এডিটরস গিল্ড ◈ দেশের উন্নয়ন দেখে বিএনপি’র মাথা খারাপ হয়ে গেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ যুক্তরাষ্ট্র স্মার্ট প্রাণিসম্পদ প্রকল্পে ৩৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিবে ◈ সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে কাঁচাবাজারে দাম কমবে: সাঈদ খোকন

প্রকাশিত : ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ০৩:০৩ দুপুর
আপডেট : ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ০৯:৪৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শিশু হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউতে আগুন, পুড়ে গেছে যন্ত্রপাতি ও বিভিন্ন সামগ্রী 

সুজন কৈরী: [২] রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের (শিশু হাসপাতাল) ৫ম তলার কার্ডিয়াক আইসিইউতে শুক্রবার দুপুরে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

[৩] আগুনের ঘটনায় হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ছোটাছুটি শুরু করেন সবাই। এক পর্যায়ে যে যেভাবে পেরেছেন সেভাবেই তাদের সন্তানদের নিয়ে হাসপাতালের বাইরের অবস্থান নেন। তবে কারো কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, রোগীদের সবাইকে আমরা নামিয়ে এনেছি। কারো কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। 

[৪] হাসপাতালে ভর্তি রোগীর স্বজনরা জানিয়েছেন, আগুন লাগার সময় অনেকেই জুমার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। হঠাৎ আগুনের খবরে দৌড়ে হাসপাতালে এসে দেখেন আগুন জ্বলছে এবং চারদিক ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন বি ব্লক। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভর্তি থাকা সব বাচ্চাকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

[৫] হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালটির ৫ম তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনে ওই ফ্লোরে থাকা সব আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। কার্ডিয়াক বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, আইসিইউর চিকিৎসক রুমে থাকা কম্পিউটার, প্রিন্টার, চেয়ার-টেবিলসহ সবকিছুই প্রায় আগুনে নষ্ট হয়ে গেছে। রুমের দেওয়ালসহ সবকিছুতেই কালো ধোঁয়ার আস্তরণ পড়েছে।

[৬] কার্ডিয়াক বিভাগে কর্তব্যরত একজন নার্স বলেন, প্রতিটি বেডেই রোগী ছিল। আইসিইউতে মোট ১৭ জন রোগী ছিল। আগুন লাগার পর তাদের প্রত্যেককেই বিভিন্ন ওয়ার্ড ও অন্যান্য আইসিইউগুলোতে স্থানান্তর করে দেওয়া হয়।

[৬.১] তিনি বলেন, আগুনে পুরো বেড, দেয়াল, এসি, ফ্রিজ ও অক্সিজেন সামগ্রী পুড়ে গেছে। যেগুলোর কোনটাই আর ব্যবহার উপযোগী নেই। যেগুলো ছিল, প্রায় সবগুলোই দাহ্য পদার্থ। আগুন যদি ছড়িয়ে পড়ত, তাহলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাই বেশি ছিল।

[৭] কর্তব্যরত এক চিকিৎসক বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ধোঁয়া। এখান থেকে ধোঁয়া বের হওয়ার কোনো পথ ছিল না। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে কয়েকটি জানালার কাঁচ ভেঙে ধোঁয়া বের হওয়ার ব্যবস্থা করেন। এরপর মোটামুটি আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

[৮] আগুন নিয়ন্ত্রণ শেষে মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন বলেন, আমরা ধারণা করছি আইসিইউর ভেতরে থাকা এসি থেকে আগুন লেগেছে। তবে তদন্তের পর সঠিক কারণ জানা যাবে।

[৯] শুক্রবার বিকেলে শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সেবা চালু করা। আমাদের নিজস্ব টেকনিক্যাল টিম, ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার, ডিপিডিসি ও ফায়ার সার্ভিস চেক করে যদি সিদ্ধান্ত দেয় তাহলে আমরা নিচতলার সেবা থেকেই চালু করতে চাই। এভাবে ধীরে ধীরে আমরা সকল ফ্লোরের সেবা চালু করতে চাই। সেবা শুরু করার কাজ শুরু হয়ে গেছে। তবে তদন্ত কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়া কিছু এখন বলতে পারছি না।

[১০] ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বলেন, দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটে আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে দুই ইউনিট ও পরে আরও তিন ইউনিট হাসপাতালে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। দুপুর ২টা ২৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। 

[১১] আগুনের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কার্ডিয়াক আইসিইউ বিভাগের প্রধানকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটিতে একজন মেইনটেইন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার, ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, ওয়ার্ড মাস্টার, একজন নার্স ও ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি রয়েছেন। তারা তিন দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দেবেন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব

এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়